
আরও ২৫টি অটোমেটেড স্পিড এনফোর্সমেন্ট (এএসই) ক্যামেরা ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে টরন্টো সিটি কাউন্সিল। এ বছরের মধ্যেই নগরজুড়ে এসব ক্যামেরা চালু করা হবে।
নগরীর প্রত্যেক ওয়ার্ডে বর্তমানে দুইটি করে ক্যামেরা রয়েছে এবং নতুন ক্যামেরাগুলোর ক্রয় সম্পন্ন হলে এ সংখ্যা সর্বোচ্চ তিনে উন্নীত হবে।
টরন্টোর মেয়র জন টরি বলেছেন, নতুন অনুমোদনের ফলে নগরীতে মোট ক্যামেরা হবে ৭৫টি এবং আরও বিস্তৃত পরিসরে এর কার্যক্রম শুরু হবে। পাশাপাশি গতিসীমা কমিয়ে আনা, রোড ডিজাইন উন্নত করা, পুলিশের তৎপরতা বাড়িয়ে ও জনগণকে সচেতন করার কাজও আমরা অব্যাহত রাখবো।
নতুন করে ২৫টি ক্যামেরা ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদনের পাশাপাশি যত দ্রুত সম্ভব কর্মসূচি সম্প্রসারণের কাজ শুরু করতে ট্রান্সপোর্টেশন সার্ভিসেসকে নির্দেশনা দিয়েছে।
বিদ্যমান ক্যামেরাগুলো কমিউনিটি সেফটি জোনে স্কুলগুলোর কাছে স্থাপন করা হয়েছে। ২০২০ সালের জুলাইয়ে এর কার্যক্রম শুরু হয় এবং ওই বছর ৮৫ হাজার ১৩৮টি টিকিট ইস্যু করে।
এএসই কর্মসূচির প্রভাব নিয়ে গবেষণা করেছে দ্য হসপিটাল ফর সিক চিলড্রেন বা সিককিডস। প্রাথমিক ফলাফলে দেখা গেছে, আইন পরিপালন বৃদ্ধি ও যানবাহনের গতি কমেছে। পাশাপাশি যেসব স্থানে স্পিড ক্যামেরা রয়েছে সেসব স্থানে গাড়ি চালনার ক্ষেত্রে চালকদের আচরণেও ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
কত দ্রুত গাড়ি চালানো হচ্ছে তার ভিত্তিতে গতিসীমা লঙ্ঘনের জন্য জরিমানা আরোপ করা হয়। তবে টিকিট ইস্যুর জন্য চালকের কোনো পয়েন্ট কাটা যায় না।
এদিকে বাড়তি ক্যামেরার জন্য কর্মীর বাবদ ব্যয়ও বাড়বে। ২০২৩ সালের বাজেটে তা অন্তর্ভুক্ত করার চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে।