
কোভিড-১৯ এর কারণে ঐতিহাসিক লকডাউন সত্ত্বেও কানাডার জনসংখ্যা অনেক দেশের তুলনায় দ্রুত বাড়ছে। গত বছর আদমশুমারি দিবসে এর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ৬৯ লাখ ৯০ হাজার।
স্ট্যাটিস্টিকস কানাডা জানিয়েছে, ২০১৬ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত জনসংখ্যা বৃদ্বির জাতীয় হার ছিল ৫ দশমিক ২ শতাংশ। জি৭ভুক্ত যেকোনো দেশের তুলনায় এ হার প্রায় দ্বিগুন এবং গত বছরের তুলনায় বেশি। ২০১৬ সালের তুলনায় ২০২১ সালে ১৮ লাখ বেশি মানুষ যোগ হয়েছে। বাড়তি এ জনসংখ্যার প্রতি পাঁচজনের মধ্যে চারজনই অভিবাসী।
ফেডারেল অভিবাসন পরিকল্পনা অনুযায়ী, এ বছর ৪ লাখ ১১ হাজার জনকে নতুন করে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ দেওয়া হবে। ২০২৩ সালে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ৪ লাখ ২১ হাজারে। ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সহযোগী অধ্যাপক মাইকেল হান বলেন, এতো উচ্চ লক্ষ্যমাত্রার অর্থ হলো জনসংখ্যার রেখাটি সত্যিই উর্ধ্বমুখী হবে।
জন্মহার হ্রাস পাওয়ার কারণে অভিবাসনই জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রধান উপায়। তবে ২০০৮ সালের পর থেকে ২০২১ সালে বৃদ্ধির হার ছিল সবচেয়ে কম। ২০২০ সালে একজন নারীর বিপরীতে সন্তানের হার ছিল গড়ে ১ দশমিক ৪ জন, যা রেকর্ড সর্বোচ্চ। কারণ মৃত্যুহারের চেয়ে জন্মহার বেশি হওয়ার জন্য এটা হওয়া প্রয়োজন ২ দশমিক ১ জন। শক্তিশালী অর্থনীতির জন্যও এটা গুরুত্বপূর্ণ।
স্ট্যাটিস্টিকস কানাডা বলছে, মহামারি এর একটা কারণ হতে পারে। তবে ভবিষ্যতে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যেতে পারে। গত বছর স্ট্যাটিস্টিকস কানাডার এক গবেষণায় বলা হয়, ৫০ বছরের কম বয়সীরা পূর্ব পরিকল্পনার তুলনায় কম সন্তান নিতে আগ্রহী।
তবে কানাডা অন্তত আগামী ৫০ বছরে সেদিকে যাচ্ছে না যেখানে জন্মের চেয়ে মৃত্যুহার বেশি। যেমনটা দেকা যায় ইতালি ও জাপানে। এ ধরনের পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো বেশি সংখ্যায় নতুন অভিবাসীকে স্বাগত জানানো, যারা জনসংখ্যা স্ফীত করবে। সেই সঙ্গে জন্মহারও বাড়াতে হবে।
জনসংখ্যার সবচেয়ে বড় অংশটির বাস এখনও অন্টারিওতে। তবে এর পশ্চিমে ব্রিটিশ কলাম্বিয়াতেও জনসংখ্যার অংশটি স্ফীত হচ্ছে এবং প্রেইরি অঞ্চলে জনসংখ্যার হিস্যা ১৯৫১ সালের পর সর্বোচ্চ বেড়েছে। তবে অন্টারিওর পূর্বে কুইবেকে জনসংখ্যার হিস্যা ধারাবাহিকভাবে কমছে। যেমনটা দেখা যাচ্ছে আটলান্টিক প্রদেশগুলোতেও।