অবকাঠামো মন্ত্রী ক্যাথেরিন ম্যাককেনা পুনরায় নির্বাচনে না দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ব্যাংক অব কানাডার সাবেক গভর্নর মার্ক কারনি পরবর্তী নির্বাচনে প্রার্থী হতে চাইলে ম্যাককেনার এ ঘোষণা তার জন্য নির্বাচনী রাজনীতি শুরুর ক্ষেত্র হয়ে উঠবে। ২০১৫ সাল থেকে অটোয়া সেন্টার নিজের দখলে রেখেছেন ম্যাককেনি।
মার্ক কার্নি নির্বাচনে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেননি। তবে গত এপ্রিলে লিবারেল পার্টির ভার্চুয়াল সম্মেলনের মধ্য দিয়ে যখন তার রাজনীতিতে অভিষেক হয় তখন দলের সহায়তায় যেকোনো কিছুই করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
কার্নি তার বক্তৃতায় বলেছিলেন, আট বছর আগে যখন রাজনীতিতে প্রবেশ করি তখন আমি দুটি প্রতিজ্ঞা করেছিলাম। একটি হলো আমি যা বিশ^াস করি তার জন্য সারাক্ষণ লড়াই করা এবং যে কারণে আমার রাজনীতিতে আসা সেটি সমাধা হওয়ার পর মাঠ ছেড়ে যাওয়া।
নির্বাচনে না দা্ড়াঁনোর সিদ্ধান্তের বিষয়ে তিন সন্তানকে সময় দেওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কথা উল্লেখ করেছেন ম্যাককেনি। তিনি বলেন, অন্য সব কানাডিয়ানের মতো দীর্ঘ এক বছরের কোভিড-১৯ মহামারি আমাকেও পেছনের দিকে নিয়ে গেছে এবং আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কি তা ভাবতে শিখিয়েছে। আমার কাছে দুটি বিষয় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণÑআমার সন্তানরা ও জলবায়ু পরিবর্তন।
ম্যাককেনি তার সিদ্ধান্তের কথা রোববারই প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে জানিয়ে দিয়েছেন। তবে নির্বাচন ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত অবকাঠামো মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে যাবেন তিনি।
ট্রুডোর প্রথম মেয়াদের সরকারের জলবায়ু বিষয়ক মন্ত্রী থাকার সময় ম্যাককেনি লিবারেল সরকারের জাতীয় জলবায়ু কর্মপরিকল্পনা প্রকাশ করেছিলেন। কার্বন নিঃসরনের ওপর কর আরোপ করা হয়েছিল ওই পরিকল্পনায়। তবে কার্বন করের তীব্র বিরোধিতা করেছিল অন্টারিও, আলবার্টা ও সাস্কেচুয়ানের মতো প্রদেশ এবং এর বিরুদ্ধে প্রদেশগুলোর সরকার আদালতেও গিয়েছিল। সুপ্রিম কোর্ট গত মার্চে এক রুলিংয়ে একে সংবিধানসম্মত বলে মত দেয়।
সোমবার ওই ঘোষণা দেওয়ার সময় ম্যাককেনি তরুণীদের যারা রাজনীতিতে আসার কথা ভাবছেন তাদের উদ্দেশে কিছু কথা বলেন। তিনি বলেন, রাজনীতিতে প্রবেশ করবে কিছু করার জন্য, কিছু হওয়ার জন্য নয়। রাজনীতিকে ঘৃণা করার অনেক কারণ আছে। কিন্তু এটাও মনে রাখতে হবে যে, অন্য যেকোনো পেশার চেয়ে রাজনীতিতে থেকে মানুষের জীবনে পার্থক্য গড়ে দেওয়াটা সহজ।