কানাডিয়ান রেডিও-টেলিভিশন অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন্স কমিশন (সিআরটিসি) ইউটিউব ও নেটফ্লিক্সের মতো স্ট্রিমিং সেবা ও ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফরম নিয়ন্ত্রণ করতে বা এ ব্যাপারে তাদের দক্ষতা আছে কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন ইন্টারনেট বিশেষজ্ঞরা। সিআরটিসিকে নতুন নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা দেওয়া উচিত কিনা সে প্রশ্নও তুলেছেন তারা।
গত সপ্তাহে সরকার অনলাইন স্ট্রিমিং অ্যাক্ট প্রকাশ করে, যা কানাডিয়ান ব্রডকাস্টারের মতোই স্পটিফাই ও ক্র্যাভের মতো স্টিমিং সেবার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। বিলে কমিশনকে স্ট্রিমিং সেবা ও ভিডিও-শেয়ারিং সাইটের পাশাপাশি প্রথাগত সম্প্রচার মাধ্যম নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে।
সিআরটিসির এটা করার মতো কারিগরি দক্ষতা আছে কিনা সে প্রশ্ন করেন ইউনিভার্সিটি অব অটোয়ার কানাডা রিসার্চ চেয়ার ইন ইন্টারনেট অ্যান্ড ই-কমার্স লয়ের মাইকেল গেইস্ট। তিনি বলেন, বিল সি-১১ হচ্ছে বিল সি-১০ এর হালনাগাদ সংস্করণ, যা নির্বাচনের আগে আইনে পরিণত হয়নি। বিলটি নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষকে বিশে^র অডিওভিজুয়াল সেবা নিয়ন্ত্রণের সুযোগ দেবে। তবে এটা করার মতো যোগ্য করে তোলা হবে না তাদের।
এ সপ্তাহে এমপিদের একটি কমিটি সিআরটিসি চেয়ারম্যান ইয়ান স্কটকে জ্ঞিাসাবাদ করেন। নিয়ন্ত্রক সংস্থার কিছু প্রতিবেদন শেষ করতে কেন এতো সময় লাগে সে প্রশ্ন করেন তারা।
হাউস অব কমন্সের শিল্প বিষয়ক কমিটির লিবারেল সদস্য নাথানিয়েল আর্সকিন-স্মিথ এক সাক্ষাৎকারে বলেন, আমরা যদি তাদের ক্ষমতা বাড়াতেই যাই তাহলে সংস্থায় উদ্ভাবনীমূলক আরও বেশি নেতৃত্বের প্রয়োজন হবে।
মুক্ত ও নিরাপদ ইন্টারনেটের দাবিতে কাজ করছে ইন্টারনেট সোসাইটি। তাদের মতে, সিআরটিসিকে এ ধরনের বৈশি^ক প্ল্যাটফরম নিয়ন্ত্রণে র ক্ষমতা দেওয়ার অর্থ হলো ওয়েব কীভাবে কাজ করে এবং কানাডিয়ানরা কীভাবে কনটেন্ট ব্যবহার করে সরকার তা বোঝে না।
ইন্টারনেট সোসাইটির উত্তর আমেরিকা চ্যাপ্টারের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্ক বুয়েল বলেন, সি-১০ এর মতো সি-১১ এরও উদ্দেশ্য হচ্ছে পুরনো সম্প্রচার আইনের আধুনিকায়ন এবং একুশ শতকের প্রযুক্তির ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা। যদিও ইন্টারনেট সম্প্রচারকারক নয়।
অনলাইন স্ট্রিমিং আইন ওয়েব ফার্মগুলোকে কানাডিয়ান কনটেন্ট প্রচারে বাধ্য করবে। সেই সঙ্গে চলচ্চিত্র, টেলিভিশন, সংগীতসহ কানাডার সাংস্কৃতিক শিল্পে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগে বাধ্য করবে। বিল সি-১১ নামে পরিচিত নতুন আইনটি ১৯৯১ সালের সম্প্রচার আইনের আধুনিক সংস্করণ।