
নীতির ক্ষেত্রে অবস্থান বদলানোর অভিযোগ থেকে নিস্কৃতি পেতে কনজার্ভেটিভদের তারা যা চায় তার স্বপক্ষে অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে। ২০২১ সালের নির্বাচনে কনজার্ভেটিভ পার্টির ফলাফল নিয়ে মূল্যায়ন প্রতিবেদন প্রস্তুতকারী জেমস কামিংস এমনটাই বলেছেন।
দ্য ওয়েস্ট ব্লকের সঞ্চালক এরিক সরেনসনের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, আমার মতে রাজনৈতিক প্রচারণা ভিন্ন বিষয়। আপনারা জানেন যে তাতে উত্থান-পতন আছে। এমন কিছু ইস্যু হাজির হয় যা ািনয়ে আপনাকে চলতে হয়। এ ধরনের অনেক কিছু ছিল যা সব দলের নির্বাচনী প্রচারণাকে কঠিন করে তোলে। কিন্তু আমার মনে হয় কনজার্ভেটিভ পার্টির কাছ থেকে কানাডিয়ানরা স্পষ্ট করে জানতে চায় তারা ঠিক কিসের পক্ষে এবং কানাডিয়ানদের ওপর এর প্রভাব কী হবে।
২০২১ সালের নির্বাচনে কামিংস আলবার্টায় তার আসনটি হারান। এরপর নির্বাচনে কনজার্ভেঠিভ পার্টির পরাজিত হওয়ার কারণগুলো পর্যালোচনার দায়িত্ব দেওয়া হয় তাকে। লিবারেলদের ক্ষমতা থেকে সরানোর চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় কনজার্ভেটিভ নেতা এরিন ও’টুল নিজ দলের ককাসের মধ্য থেকেই তোপের মুখে পড়েন। তারপরও এখন পর্যন্ত তিনি দলীয় নেতৃত্ব ধরে রেখেছেন।
নেতৃত্বের প্রচারণাকালে এরিন ও’টুল যেসব অবস্থানের কথা বলেছিলেন, নির্বাচনী প্রচারণার সময় তার অনেকগুলো থেকেই তিনি সরে আসেন। কার্বন প্রাইসিং নিয়ে নীতি পরিবর্তন এবং অ্যাসল্ট গানের ব্যবহার নিষিদ্ধ এর মধ্যে অন্যতম। কানাডিয়ান আইনে অ্যাসল্ট গান বা এ ধরনের অস্ত্রের বৈধ কোনো শ্রেণি নেই। তবে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও লিবারেলরা যে ধরনের অস্ত্র সেনাবাহিনী যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহার করে এবং যার সাহায্যে নিমিশেই অনেক মানুষকে হত্যা করা যায় সে ধরনের অস্ত্রকে অ্যাসল্ট বা এ ধরনের অস্ত্র বলে চিহ্নিত করে থাকেন। স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রের ব্যবহার এরই মধ্যে কানাডায় নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
দেড় হাজারের মতো অ্যাসল্ট এবং মিলিটারি গ্রেডের আগ্নেয়ান্ত্র নিষিদ্ধ করে ২০২০ সালে জারি করা লিবারলেদের নির্বাহী আদেশ বাতিলের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ও’টুলের প্ল্যাটফরম। কনজার্ভেটিভ নেতা ফ্রেঞ্চ ভাষায় অনুষ্ঠিত এক নির্বাচনী বিতর্কে বলেছিলেন, অ্যাসল্ট রাইফেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা তিনি বাতিল করবেন না। পরক্ষণেই এ নিয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার দাবি ওঠে।
দলের পক্ষ এ ব্যাপারে জানানো হয়, এরিন ও’টুল বলতে চেয়েছেন পুরোপুরি স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রের ওপর দশক ধরে যে নিষেধাজ্ঞা আছে তা তিনি বদলাতে চান না।