এমন সময় ওমিক্রনের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে যে সময় শিশুদের মধ্যে ভ্যাকসিন নেওয়ার হার কমে গেছে। যদিও এই সময়ে শিশুদের মধ্যে ভ্যাকসিনেশনের হার বাড়ার কথা ছিল।
ফাইজারের শিশুদের উপযোগী করে তৈরি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন অনুমোদন হয় ২০২১ সালের ১১ নভেম্বর। পরের সপ্তাহ থেকেই অনেক প্রদেশ তা প্রদানও শুরু করে।
ভ্যাকসিন নিয়ে যেসব দ্বিধা সে সম্পর্কিত বিশেষজ্ঞ কেট অ্যালেন এর আগে সতর্ক করে বলেছিলেন, বাবা-মায়েরা নিজেরা যতটা আগ্রহের সঙ্গে ভ্যাকসিন নিয়েছেন তাদের ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী সন্তানদের ভ্যাকসিন নেওয়ার ক্ষেত্রে ততটা আগ্রহ দেখাবেন না। কারণ, শিশু সন্তানদের ব্যাপারে বাবা-মায়েরা খুব বেশি সতর্ক।
তবে তিনি যতটা ধারণা করেছিলেন ভ্যাকসিনেশনের হার তার চেয়েও ধীর। যদিও শিশুদের ওপর ভ্যাকসিনের নিরাপত্তার বিষয়টি পরীক্ষিত।
অনুমোদনের পর ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী মাত্র ৫১ শতাংশ শিশুকে ভ্যাকসিনেশনের আওতায় আনা গেছে। ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের মধ্যে অন্তত এক ডোজ ভ্যাকসিন নিয়েছে যেখানে ৭২ শতাংশের বেশি। এর একটা কারণ হতে পারে, এমন সময় প্রদেশগুলো শিশুদের ভ্যাকসিন প্রদান শুরু করে যখন ওমিক্রনের সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। অতি সংক্রামক ও কম মারাত্মক এই ভ্যারিয়েন্টটি এখন কানাডাজুড়ে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে, যা প্রাপ্ত বয়স্ক ও বয়স্ক জনগণের সুরক্ষায় বুস্টার ডোজ প্রদানকে প্রয়োজনীয় করে তুলেছে।
অ্যালেন বলেন, আমার মনে হয় গুরুত্বটা এদিকেই বেশি ছিল এবং এর ফলে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের ভ্যাকসিনেশনের আওতায় আনার ওপর থেকে মনোযোগ সরে গেছে।
তবে সেটারও এখন পরিবর্তন হচ্ছে। শিশুদের মধ্যে ভ্যাকসিনেশনের হার যে খুবই কম গত সপ্তাহেই প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো তা সতর্ক করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, যেটা সঠিক সেটাই আামাদের করতে হবে। এর অর্থ হলো আমাদের শিশুদের ভ্যাকসিনেশনে আওতায় আনতে হবে।
একই রকম উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কানাডার প্রধান জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. তেরেসা ট্যামও। কেন অধিক হারে বাবা-মায়ের সন্তানদের ভ্যাকসিন নিতে আগ্রহী হচ্ছেন সেটা তদন্ত করে দেখার পক্ষে মত দেন তিনি।