
দুই বছর ধরে কোভিড-১৯ মহামারির মধ্য দিয়ে যাওয়ার পর কিছুটা স্বাভাবিকতায় ফেরার ব্যাপারে উদগ্রিব কানাডিয়ানরা। তবে সেটা ঠিক কীভাবে হবে তা নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন মতামত উঠে এসেছে নতুন এক সমীক্ষায়।
গ্লোবাল নিউজের জন্য সমীক্ষাটি পরিচালনা করেছে ইপসস পোল। সমীক্ষায় অংশ নেওয়া দুই-তৃতীয়াংশ কানাডিয়ান বলেছেন দেশকে স্বাভাবিক অবস্থায় সরকারের উদ্যোগ যথেষ্ঠ নয়।
ইপসস পাবলিক অ্যাফেয়ার্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড্যারেল ব্রিকার বলেন, যদিও আমরা বলছি যে, আমরা সেই জায়াগায় ফিরতে চাই যেটা স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। তারপরও সেটা সুনির্দিষ্ট নয়। তারা আমাদেরকে যেটা বলেছে তা হলো তারা বিশ^াস করে যে, ওই জায়গায় ফেরায় যথেষ্ঠ ঝুঁকি আছে। বিশেষ করে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের কারণে।
সমীক্ষায় অংশ নেওয়া প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন বলেছেন, স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরছেন বলে তাদের মনে হতে শুরু করেছে। একই সংখ্যক মানুষ বলেছেন, মাস্ক পরিধান ছাড়া অথবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও কর্মক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক ভ্যাকসিনেশন ছাড়া তারা স্বস্তিতে থাকতে পারবেন কিন নিশ্চিত নন।
সারা দেশের এক হাজার জনের ওপর সমীক্ষাটি চালানো হয়েছে। এমন এক সময় সমীক্ষাটি চালানো হয়র যখন বাধ্যতামূলক ভ্যাকসিনেশন ও অন্যান্য জনস্বাস্থ্য বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে ট্রাক চালকরা অটোয়ার রাস্তায় নেমে আসেন।
তারপরও সিংহভাগ কানাডিয়ান এসব বাধ্যবাধকতার পেছনে থাকা কারণের প্রতি নিজেদের সমর্থন ব্যক্ত করেন। ৭১ শতাংশের মত হলো বিধিনিষেধ প্রলম্বিত হলেও হাসপাতালের সক্ষমতা ধরে রাখতে আমাদের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের বিস্তার রুখতে হবে। ৫৫ বছর ও তার বেশি বয়সী কানাডিয়ানদের মধ্যে এ হার আবার ৮৩ শতাংশ। তবে অপেক্ষাকৃত তরুণদের মধ্যে এ হার ৬০ শতাংশ।
হাসপাতালের আইসিইউগুলোর ধারণক্ষমতা যাতে ফুরিয়ে না যায় সেদিকেই সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত বলে মনে করেন সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ৮১ শতাংশ কানাডিয়ান। ৫৫ বছর ও তার বেশি বয়সীদের মধ্যে এ হার অবশ্য আরও বেশি ৮৭ শতাংশ।
হাসপাতালের সক্ষমতা ধরে রাখার উপায় নিয়েও বিতর্ক আছে। সমীক্ষায়র অংশ নেওয়া মাত্র ৩৮ শতাংশ কানাডিয়ান বাধ্যতামূলক ভ্যাকসিনেশনকে সর্বোত্তম সমাধান বলে মনে করেন। অন্যদিকে সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ১৪ শতাংশ কানাডিয়ান যথাক্রমে সীমান্ত বন্ধ ও কর্মক্ষেত্রে র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষাকে সবচেয়ে ভালো উপায় বলে মনে করেন।