
কুইবেকের সাধারণ জনগণের চাপের আবারও নতি স্বীকার করতে বাধ্য হলেন প্রিমিয়ার জ্যাঁ ফ্রাঁসোয়া লেগো। দু’সপ্তাহ আগে ঘোষণা দিয়েছিলেন যারা ভ্যাকসিন নেয়নি বা নিচ্ছেন না তাদের ওপর ভ্যাকসিন ট্যাক্স আরোপ করা হবে। কিন্তু নিস্ফলেই গেছে তাঁর স্বপ্নের চাহিদা। কুইবেকাররা প্রিমিয়ারের এ ঘোষণায় রীতিমত ক্ষুব্ধ। প্রতিবাদ হয়েছে অলিতে গলিতে। এখনও চলছে প্রতিবাদ।
বলা হচ্ছে ‘আমার শরীর, আমার মন, আমার ইচ্ছা…’ আর এ সংখ্যাটাও খুব বেশি না। এরা খাস ফরাসী ভাষাভাষি কুইবেকার।
এতো গেলো ভ্যাকসিন গ্রহণে অস্বীকৃতি জানানোর কথা। কিন্তু এখানেই শেষ না। গত ৩১ জানুয়ারি থেকে রেস্টুরেন্টের ডাইনিং খুলে দেয়া হলেও এখন পর্যন্ত খোলা হয়নি বার, জিমনেসিয়াম। তাই তো প্রতিবাদী হয়ে উঠেছে বার মালিক সমিতি ও জিম ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি ধর্ম নিরপেক্ষ বিল ২১ এর প্রতি দিনে দিনেই কমছে সমর্থের সংখ্যা। সব মিলিয়ে কঠিন চাপের মুখে কুইবেক প্রিমিয়ার ফ্রাঁসোয়া লেগো। তাইতো জনরোষের মুখে গত মঙ্গলবার তড়িঘড়ি এক সংবাদ সম্মেলন করে প্রিমিয়ার লেগো ঘোষণা দিলেন, ভ্যাকসিন ট্যাক্স আরোপের কথা বলা হলেও তা স্থগিত করা হচ্ছে। লেগো বলেন, আমরা চাইনা কুইবেককে বিভক্ত করতে। বরং কুইবেকারদের পছন্দকেই প্রাধান্য দিয়ে আমরা সরকার চালাতে চাই। সংবাদ সম্মেলনে প্রিমিয়ার ঘোষণা দেন, আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫০ শতাংশ আসনে সকল জিননেসিয়াম ও বার খুলে দেয়া হবে। তার আগে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সিনেমা হল, এরেনা ও স্পা সেন্টারগুলো ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে খোলা যাবে।
অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে, আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে মূলত: সব কিছুই খুলে দেয়া হচ্ছে। কারণ একটাই, একদিন, প্রতিদিন করে কুইবেকের জনগণের প্রতিবাদ আর আইন না মানার প্রবণতা সরকারকে ভাবিয়ে তুলেছে দারুণভাবে। মসনদ টিকিয়ে রাখতেই কুইবেক প্রিমিয়ারের দ্বিতীয় দফায় এমন নতি স্বীকার বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।