
বিল ২১ নামে পরিচিত কুইবেকের ধর্মনিরপেক্ষ বিলের প্রতি সমর্থন কমে আসার তথ্য উঠে এসেছে সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায়। এ মাসের গোড়ার দিকে অ্যাসোসিয়েশন ফর কানাডিয়ান স্টাডিজের জন্য লেজার পরিচালিত ওয়েব প্যানেল সমীক্ষায় এ তথ্য উঠে এসেছে। সমীক্ষায় দেখা গেছে, সরকারি স্কুলে ধর্মীয় পরিচয়সূচক কিছু পরিধান করা নিষিদ্ধের পক্ষে রয়েছেন কুইবেকের ৫৫ শতাংশ জনগণ। সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত লেজারের আরেকটি সমীক্ষায় এর প্রতি সমর্থন জানিয়েছিলেন প্রদেশের ৬৪ শতাংশ মানুষ।
অ্যাসোসিয়েশন ফর কানাডিয়ান স্টাডিজের প্রেসিডেন্ট জ্যাক জেডওয়েব বলেন, জনমতের এই পরিবর্তন বিষয়টি নিয়ে সাম্প্রতিক বির্তকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। কুইবেকের পশ্চিমাঞ্চলের এক শিক্ষিকার বিলটির বিরুদ্ধে মামলা এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। হিজাব পরার কারণে ওই শিক্ষিকা দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনার পর আইনটির বিরুদ্ধে আদালতে যে মামলা দায়ের হয়েছে তাতে ফেডারেল সরকারের হস্তক্ষেপের দাবি উঠেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বেশ কয়েকজন মেয়র এ মামলায় তাদের সমর্থন ব্যক্ত করেছেন।
সমীক্ষাটি পরিচালনা করা হয় ৭ জানুয়ারি থেকে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত। ১৮ বছর ও তা বেশি বয়সী এক হাজার ৫৪৭ জন কানাডিয়ান এতে অংশ নেন।
বিভিন্ন ভাষাভাষীদের মধ্যে বিলটির প্রতি সমর্থন নিয়ে তফাৎ আছে। ফ্রেঞ্চভাষী ৫৯ শতাংশ কুইবেকবাসী বিলটির প্রতি শক্তিশালী সমর্থন ব্যক্ত করলেও ইংরেজি ভাষাভাষীদের মধ্যে এ হার মাত্র ২৬ শতাংশ। ভিন্নতা আছে বয়সভেদেও। ৬৫ থেকে ৭৪ বছর বয়সী ৭৩ দশমিক ৯ শতাংশ কুইবেকবাসীর বিলটির প্রতি তাদের সমর্থন ব্যক্ত করলেও ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সীদের মধ্যে এ হার মাত্র ২৭ দশমিক ৮ শতাংশ।
কানাডায় বিলটির পক্ষে নিজেদের অবস্থান ব্যক্ত করেছেন ৩৩ শতাংশ মানুষ। এর বিপক্ষে অবস্থান জানিয়েছেন ৫৫ শতাংশ এবং ১২ শতাংশ কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন নি।
বিলটির বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় ফেডারেল সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ৩৯ শতাংশ নাগরিক। এর বিপক্ষে আছেন ২৯ শতাংশ। ফেডারেল সরকারের হস্তক্ষেপ চান সবচেয়ে বেশি অন্টারিওর বাসিন্দারা। এ ব্যাপারে ফেডারেল সরকারের হস্তক্ষেপ সবচেয়ে কম চান কুইবেকের বাসিন্দারা।