
মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অস্ত্রভান্ডারে আরেকটি অস্ত্র যোগ করল হেলথ কানাডা। ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের দ্রুত বিস্তারের মধ্যে ফাইজারের অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ প্যাক্সলোভিড অনুমোদন দিয়েছে সংস্থাটি।
কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত মৃদু ও মাঝারি মাত্রায় অসুস্থ প্রাপ্ত বয়স্ক রোগীদের রোগীদের চিকিৎসায় ওষুধটি অনুমোদন করেছে হেলথ কানাডা। এসব রোগীর অসুস্থতা মৃদু বা মোটামুটি হলেও গুরুতর অসুস্থ্য হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে তাদের। তবে তরুণ ও কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রেগেীদের ওপর ওষুধটি ব্যবহারের অনুমোদন দেয় নি সংস্থাটি।
হেলথ কানাডার চিফ মেডিকেল অ্যাডভাইজার ড. সুপ্রিয়া শর্মা বলেন, মহামারির গুরুত্বপূর্ণ সময়, যখন আমরা নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্টের সম্মুখীন হচ্ছি ঠিক সেই সময় ওষুধটির অনুমোদন দেওয়া হলো।
হাসপতালে ভর্তি হওয়া প্রয়োজন এমন উচ্চ ঝুঁকির কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা কমিয়ে ওষুধুট স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থার ওপর চাপ কমাতে পারে। তবে এর সরবরাহ নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে বলে সোমবার জানান স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।
প্যাক্সলোভিডের প্রভাব এখনই দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা কম বলে জানিয়েছেন কানাডার প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. তেরেসা ট্যাম। তিনি বলেন, অনেক কিছুই নির্ভর করছে প্রাথমিক সরবরাহের ওপর এবং আমরা সবাই জানি যে, সেটা খুব ভালো হচ্ছে না। ওমিক্রন ঢেউয়ে এটা ভূমিকা রাখতে পারে। কিন্তু বিদ্যমান ঢেউয়ে এটা মূল ভূুমিকায় নেই। সুতরায় এটা আরেকটি পর্যায়, আরেকটি হাতিয়ার আমরা পরবর্তী মাসগুলোতে পেতে যাচ্ছি এবং সেটা হচ্ছে অন্যান্য চিকিৎসা।
উপসর্গ দেখা দেওয়ার পাঁচ দিনের মধ্যে ব্যবস্থাপত্রের মাধ্যমে বাড়িতে ওষুধটি ব্যবহার করা যাবে। তবে পিসিআর টেস্ট সক্ষমতা নিয়ে কানাডা হিমশিম খাওয়ায় সংক্রমণের সময় নির্ধারণটা বেশ চ্যালেঞ্জিং।
কারা প্যাক্সলোভিড নেবেন তা নির্ধারণে র্যাপিড টেস্ট এখানে সহায়ক হতে পারে বলে জানান ডা. তেরেসা ট্যাম। তিনি বলেন, ওষুধটির মাধ্যমে চিকিৎসার প্রধান চ্যালেঞ্জ হলো আগেভাগে পরীক্ষঅ করা। চেষ্টা করলে আপনি সময়মতো পিসিআর টেস্ট করাতে পারবেন হয়তো। কিন্তু তা সম্ভব না হলে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের আশ্রয় নিতে পারেন। এটাই সবচেয়ে প্রায়োগিক পদ্ধতি।
তিনি বলেন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যাদের মোটামুটি বা মারাত্মক দুর্বল এবং ভ্যাকসিনের কারণে যারা কোভিড-১৯ থেকে যথেষ্ট মাত্রায় সুরক্ষিত নন, ৮০ বছর বয়সী সেইসব মানুষ যাদের ভ্যাকসিন নেওয়া অনেকদিন হয়ে গেছে তাদেরকে প্যাক্সলোভিড দেওয়া হবে। এছাড়া ৬০ বছর ও তার বেশি বয়সী যেসব মানুষ গ্রামে বসবাস করেন অথবা ফার্স্ট নেশন, ইনুইট ও মেটিস নাগরিকদের যাদের ভ্যাকসিন নেওয়াও অনেকদিন হয়ে গেছে তাদের ওপরও ওষুধটি প্রয়োগ করা যাবে।