শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪
0.6 C
Toronto

Latest Posts

নতুন বিধিনিষেধের বিপক্ষে আলবার্টা ও সাস্কেচুয়ান

- Advertisement -
কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হওয়ার আগের দিনও সাস্কেচুয়ানের প্রিমিয়ার স্কট মো বলেছিলেন, আতি সংক্রামক ওমিক্রনের বিরুদ্ধে এইসব কঠোর বিধিনিষেধ কার্যকর বলে তিনি মনে করেন না

ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের কারণে যখন কানাডায় মহামারির পঞ্চম ঢেউ চলছে তখন সাস্কেচুয়ান রয়েছে অন্যদের চেয়ে একেবারে আলাদা অবস্থানে। কুইবেক কারফিউ জারি এবং অন্টারিও ইনডোর ডাইনিং ও জিমে শরীর চর্চা নিষিদ্ধ করলেও সাস্কেচুয়ানের বাসিন্দারা বাধাহীন জীবন উপভোগ করছেন। বড়দিনের ছুটির পর প্রদেশটির শিক্ষার্থীরাও শ্রেণিকক্ষে পাঠ নিতে শুরু করেছেন।

কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হওয়ার আগের দিনও সাস্কেচুয়ানের প্রিমিয়ার স্কট মো বলেছিলেন, আতি সংক্রামক ওমিক্রনের বিরুদ্ধে এইসব কঠোর বিধিনিষেধ কার্যকর বলে তিনি মনে করেন না।

- Advertisement -

বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমাদের দেশে এসব বিধিনিষেধ সংক্রমণের বিরুদ্ধে কাজ করে কিনা এবং হাসপাতালে ভর্তি কমায় কিনা সেদিকে আমরা নজর রাখছি। কানাডার অন্য কোনো প্রদেশে এটা কাজ করছে কিনা আমার জানা নেই। যেসব স্থানে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে সেসব স্থানেও আমরা সংক্রমণ দেখতে পাচ্ছি। এমনকি জমায়েত সীমিত করে আনার পরও ওমিক্রনের বিস্তার অব্যাহত রয়েছে।

ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে সৃষ্ট চতুর্থ ঢেউয়ের পর সাস্কেচুয়ানের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রগুলোতে রোগী ভর্তি কমে আসছে। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের বাইরে হাসপাতালের ইউনিটগুলোতে রোগী ভর্তি বেড়েছে। এ সংখ্যা আরও বাড়বে বলে মনে করছেন সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. নাজিন মুহাজেরিন।

তিনি বলেন, আমার মনে হয় মহামারির পঞ্চম ঢেউ পাঁচ থেকে ছয় সপ্তাহ স্থায়ী হবে। সে হিসাবে সাস্কেচুয়ানে মাঝপথে আছে। আমরা হাসপাতালের ১২৫টি শয্যায় রোগী দেখতে পাচ্ছি এবং সহজেই এটা দ্বিগুন বা তিনগুন হয়ে যাবে।
জমায়েত সীমা হ্রাস ও জনস্বাস্থ্য বিধিবিধান সংক্রমণ কমানোর জন্য কার্যকর নয় বলে প্রিমিয়ার মোর মন্তব্যের সঙ্গে একমত হতে পারেন নি মুহাজেরিন। তিনি বলেন, আমি জানি না কোন উপাত্তের ভিত্তিতে তিনি এই দাবি করছেন।
মোর মতোই অধিকতর বিধিনিষেধের বিরোধিতা করেছেন আলবার্টার প্রিমিয়ার জেসন কেনি। বৃহস্পতিবার তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, প্রদেশে এখন ৬০ হাজার সক্রিয় কোভিড রোগী রয়েছেন এবং মহামারির মধ্যে যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। আমরা এও জানি যে, এটা প্রদেশে মোট সংক্রমণের ভগ্নাংশমাত্র।

তারপরও আলবার্টা এখন পর্যন্ত নতুন কোনো জনস্বাস্থ্য বিধি ঘোষণা করে নি। প্রদেশের জনস্বাস্থ্য বিভাগের সাবেক চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. জেমস ট্যালবট বলেন, বাড়তি বিধিনিষেধ আরোপ করা না হলে শিগগিরই আলবার্টার স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা ধারণক্ষমতা হারিয়ে ফেলবে।

- Advertisement -

Latest Posts

Don't Miss

Stay in touch

To be updated with all the latest news, offers and special announcements.