রানী এলিজাবেথ প্রিন্স এন্ড্রুর সব সামরিক পদ ও রাজকীয় পৃষ্ঠপোষকতা প্রত্যাহার করে নেওয়ায় প্যাট্রোন বিহীন হয়ে পড়েছে তিনটি কানাডিয়ান রেজিমেন্ট। তিনটি রেজিমেন্টেরই অনারারি কর্নেল-ইন-চিফ ছিলেন ডিউক অব ইয়র্ক। রেজিমেন্ট তিনটি হলো রয়্যাল হাইল্যান্ড ফিউসিলিয়ারস অব কানাডা, প্রিন্সেস লুইস ফিউসিলিয়ারস ও কুইন’স ইয়র্ক রেঞ্জারস। রিডো হল ও কানাডার সশস্ত্র বাহিনীর একজন মুখপাত্র রানীর দ্বিতীয় ছেলে প্রিন্স এন্ডু কর্তৃক এসব পদবী পরিত্যাগের কথা নিশ্চিত করেছেন।
সাবেক লেফটেন্যান্ট গভর্নর ও গভর্নর জেনারেলের উপদেষ্টা রিচার্ড বার্থেলসেন বলেন, রানীর এই সিদ্ধান্ত রেজিমেন্ট তিনটিকে দুই বছরের অনিশ্চয়তা ফেলে দিয়েছে।
দ্য কানাডিয়ান প্রেস জানায়, লেকফিল্ড কলেজ স্কুল, রয়্যাল ভিক্টোরিয়া ইয়াট ক্লাব, ম্যাপল বে ইয়াট ক্লাব ও সিককিডস ফাউন্ডেশনের মতো বেসরকারি সংস্থা এক সময় প্রিন্সের পৃষ্ঠপোষকতায় গর্ববোধ করলেও তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের পর সরকারি দায়িত্ব থেকে তিনি সরে দাঁড়ানোর পর ২০১৯ সালে তার সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করে। কিন্তু তারপরও মিলিটারি রেজিমেন্টের হাত বাঁধা ছিল। একতরফাভাবে তাদের প্রিন্স এন্ড্রুর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার সুযোগ তাদের ছিল না। এজন্য তার পদবী প্রত্যাহার পর্যন্ত অপেক্ষা করা ছাড়া তাদের সামনে বিকল্প ছিল না।
রানী আরেকজন রয়্যাল প্যাট্রোন নিয়োগ দিলেও তার স্বামী প্রিন্স ফিলিপের মৃত্যু ও প্রিন্স হ্যারি রাজকীয় দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর পরিপ্রেক্ষিতে সহসাই তা হবে বলে মনে করছেন না বার্থেলসেন। তিনি বলেন, অধিকাংশ কানাডিয়ান রেজিমেন্টই কর্নেল-ইন-চিফ চায়। কারণ, প্রতীকী অর্থে এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
তিন রেজিমেন্টে প্রিন্স এন্ড্রুর ভূমিকা ছাড়াও রয়্যাল ওয়েবসাইট আরও কিছু কানাডিয়ান সংস্থার নাম প্রকাশ করেছে, যেগুলোর পৃষ্ঠপোষক হিসেবে প্রিন্স এন্ড্রুর নাম রয়েছে। তালিকাটি পুরনো মনে হলেও এর মধ্যে আছে লেকফিল্ড কলেজ স্কুল এবং ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার দুটি ইয়াট ক্লাব।
উল্লেখ্য, আমেরিকান এক নারী প্রিন্স এন্ড্রুর বিরুদ্ধে যৌন অপরাধী জেফরি এপস্টেইনের কাছে তাকে পাচারের অভিযোগ করেছেন। প্রিন্স এন্ড্রুর বন্ধু ছিলেন এপস্টেইন। যদিও প্রিন্স এন্ড্রু তার বিরুদ্ধে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।