ক্রমেই প্রভাবশালী হয়ে ওঠা চীনের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন কৌশল নিয়ে কাজ করছে কানাডা। রোববার প্রচারিত দ্য ওয়েস্ট ব্লকের মার্সিডিজ স্টিফেনসনের এক সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিশে^র চীনের প্রভাব ক্রমেই বাড়ছে এবং এ অবস্থায় চীনের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক কেমন হবে প্রত্যেক দেশেরই সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। এ কারণেই একটি কৌশল তৈরির দায়িত্ব আমাকে দেওয়া হয়েছিল, যাকে বলা হচ্ছে ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি। নতুন কৌশলের বিস্তারিত সামনের সপ্তাহে মা মাসে প্রকাশ করা হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ মন্তব্যের দুই সপ্তাহ আগেই প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো স্টিফেনসনকে দেওয়া বছর শেষের সাক্ষাৎকারে চীনের কূটনৈতিক ধরনের বিষয়ে কথা বলেন। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, চীনের কর্তৃত্ববাদী কূটনীতির বিরুদ্ধে সমমনা সব দেশকে একটি অভিন্ন ফ্রন্টে আসা উচিত। আমরা প্রতিযোগিতা করছি এবং চীন সুচতরভাবে প্রতিযোগিতামূলক বাজারের মতো বিবাদে লিপ্ত হচ্ছে। চীন যাতে আমাদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য আমাদের একসঙ্গে কাজ করার পাশাপাশি শক্তভাবে দাঁড়ানো উচিত।
ট্রুডো ও জোলির এ মন্তব্য এমন সময় আসলো যখন চীনের সঙ্গে কানাডার বরফ শীতল সম্পর্কে উষ্ণতার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। ২০১৮ সালে হুয়াওয়ের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা মেঙ ওয়ানঝুকে গ্রেপ্তারের পর দুই দেশের সম্পর্ক হিমঘরে চলে যায়। হুয়াওয়ের নির্বাহীকে গ্রেপ্তারের পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে দুই কানাডিয়ান নাগরিক মাইকেল স্প্যাভর ও মাইকেল কোভরিগকে আটক করে চীন। এরপর তাদেরকে টানা এক হাজার দিন কারাগারে বন্দি রাখে। মেংয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ বাতিলের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তিকে পৌঁছানোর কয়েক ঘণ্টা পর ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে দুই মাইকেলকে মুক্তি দেয় চীন।
এরপরও দুইদেশের সম্পর্ক যে মসৃণ হয়নি ২৭ ডিসেম্বরের সংবাদ সম্মেলনে তা পরিস্কার করে চীন। চীনের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত টেলিভিশন চ্যানেল চায়না সেন্ট্রাল টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেন, কানাডা চীনকে অংশীদার নাকি প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখছে? ভবিষ্যতের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে কানাডাকে এই মৌলিক প্রশ্নের বিষয়টি অবশ্যই ভাবতে হবে।