ওমিক্রনের কারণে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় নতুন করে লকডাউন ও বিধিনিষেধের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছেন সংখ্যাগরিষ্ঠ কানাডিয়ানের। লেজার ও অ্যাসোসিয়েশন অব কানাডিয়ান স্টাডিজের সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ৫৬ শতাংশ কানাডিয়ান বলেছেন, সংক্রমণ হ্রাসে ও স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার সক্ষমতা ধরে রাখতে সরকারগুলো সঠিক পদক্ষেপই নিচ্ছে।
আক্রান্তদের বেশিরভাগের ওপরই ওমিক্রন মারাত্মক প্রভাব ফেলছে বলে মনে করেন না সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ৩১ শতাংশ কানাডিয়ান। তাদের মতে, সরকারগুলোর উচিত সবকিছু উন্মুক্ত রাখা এবং কানাডিয়ানদের ঝুঁকির মধ্যে বসবাস করার অনুমতি দেওয়া। বাকি ১৪ শতাংশ এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেন নি।
লেজারের নির্বাহী ভাইস-প্রেসিডেন্ট ক্রিশ্চিয়ান বোর্ক বলেন, লকডাউন নিয়ে কানাডিয়ানদের মধ্যে যে বিরক্তি আছে সমীক্ষার ফলাফল সেদিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে, বিশেষ করে তাদের মধ্যে যারা পুরোপুরি ভ্যাকসিনেটেড হয়েছেন। ভ্যাকসিনেশনের পক্ষে প্রকৃত সমর্থন অনেক বেশি। এর কার্যকারিতা সম্পর্কে ধারণাও অনেক উচ্চ। এমনকি ভ্যাকসিন গ্রহীতারা বলছেন, আপনি জানেন আমি ভ্যাকসিনেটেড? আমার পক্ষে করণীয় সবকিছুই আমি করেছি। আমাকে এটা নিয়েই থাকতে দিন।
১ হাজার ৫৪৭ জন কানাডিয়ানের ওপর ৫ থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত অনলাইনে সমীক্ষাটি পরিচালিত হয়। সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ৬২ শতাংশ কানাডিয়ান কোভিড-১৯ মোকাবেলায় ফেডারেল সরকারের পদক্ষেপে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। ডিসেম্বরের চেয়ে এ হার ৫ শতাংশ কম। মিউনিসিপাল সরকারের পদক্ষেপের প্রতিও একই হারে মানুষ তাদের সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। প্রাদেশিক সরকারের কাজে সন্তুষ্ট ব্যক্তিদের হারও ডিসেম্বরের তুলনায় ৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। কোভিড-১৯ মোকাবেলায় প্রাদেশিক সরকারের কাজে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ৫৮ শতাংশ কানাডিয়ান।
বোর্কের মতে, ভ্যাকসিন নিতে অস্বীকৃতি জানানো ব্যক্তিদের ওপর ভ্যাকসিন গ্রহীতাদের বিরক্তি যে বাড়ছে সমীক্ষার এই ফলাফল সে কথাই বলছে।
মল ও অন্যান্য খুচরা বিক্রয় কেন্দ্রে ভ্যাকসিন পাসপোর্টের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছেন সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ৬৪ শতাংশ কানাডিয়ান। পাবলিক ট্রানজিট ব্যবহারকারীদেরকেও ভ্যাকসিন পাসপোর্টের আওতায় আনার পক্ষে মত দিয়েছেন ৬১ শতাংশ কানাডিয়ান। এছাড়া ভ্যাকসিন না নেওয়া ব্যক্তিদের জন্য হাসপাতাল ও ক্লিনিকে আলাদা জায়গার ব্যবস্থা করার কথা বলেছেন সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী দুই-তৃতীয়াংশ কানাডিয়ান।