নতুন বছরে অন্টারিওর আইন ও বিধিবিধানে বেশ কিছু পরিবর্তন হচ্ছে। এর মধ্যে নিজ দেশে ছুটি কাটানোর ট্যাক্স ক্রেডিটে পরিবর্তন যেমন আছে, একইসঙ্গে পরিবর্তন আছে অন্টারিওর ন্যুনতম মজুরিতেও।
নিজ দেশে ছুটি কাটানোয় ট্যাক্স ক্রেডিটে পরিবর্তন ১ জানুয়ারি থেকেই কার্যকর হয়েছে। পুরো ২০২২ সালজুড়েই এটা বলবৎ থাকবে। ডগ ফোর্ড সরকারের হেমন্তে দেওয়া অর্থনৈতিক বিবৃতিতে এ কর্মসূচির ঘোষণা এসেছিল। ঘোষণাটি দেওয়া হয়েছিল গত নভেম্বরে।
১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অন্টারিওবাসী যোগ্য আবাসনের জন্য ২০ শতাংশ ট্যাক্স ক্রেডিট পাবেন, ব্যক্তি পর্যায়ে সর্বোচ্চ এক হাজার ডলার এবং পরিবারপ্রতি দুই হাজার ডলারে ট্যাক্স ক্রেডিট মিলবে সর্বোচ্চ ২০০ ও ৪০০ ডলার। ২০২২ সালের ব্যক্তিগত ট্যাক্স রিটার্ন দাখিলের সময় অন্টারিওর বাসিন্দারা ফেরতযোগ্য ক্রেডিটের আবেদন করতে পারবেন। এমনকি কোনো কর প্রদানের যোগ্য না হলেও ক্রেডিটের আবেদন করা যাবে।
১ জানুয়ারি থেকে প্রাদেশিক ন্যুনতম মজুরি ঘণ্টায় ১৫ ডলার বাড়ানোর ঘোষণা ২০২১ সালের গোড়ার দিকে দিয়েছিল অন্টারিও সরকার। এরপর মূল্যস্ফীতির হারে ন্যুনতম মজুরি ধারাবাহিকভাবে বাড়তে থাকবে। এই মজুরি বৃদ্ধি মদ লিকার সরবরাহকারীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে। বর্তমানে তাদের ন্যুনতম মজুরি ঘণ্টায় ১২ দশমিক ৫৫ ডলার।
ভ্যাকসিন সনদ ব্যবস্থা চালুতে বিলম্বের কারণে অন্টারিওর ডিজিটাল পরিচয়প্রত কর্মসূচি ২০২২ সালের কোনো এক সময় চালু করা হবে। যদিও এর সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ এখনও ঘোষণা করেনি সরকার। ডিজিটাল পরিচয়পত্র কর্মসূচি চালু হওয়ার পর অন্টারিওর বাসিন্দারা সরকারি পরিচয়পত্রের ইলেক্ট্রনিক ভার্সন পাবেন। এটা হবে অনেকটা ড্রাইভার’স লাইসেন্স ও হেলথ কার্ডের মতো, যা ডিজিটাল ওয়ালেট অ্যাপে সংরক্ষিত থাকবে। ডিজিটাল পরিচয়পত্র কাগুজে পরিচয়পত্র প্রদর্শণ ছাড়াই ব্যক্তি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পরিচয় প্রমাণে সহায়ক হবে। সরকারের তথ্য অনুযায়ী, ডিজিটাল পরিচয়পত্রে কাগুজে পরিচয়পত্রের তুলনায় ব্যক্তি গোপণীয়তা বেশি রক্ষিত হবে।
কর্মক্ষেত্রের সঙ্গে কর্মীদের সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করার সুযোগ রেখে একটি আইন গত নভেম্বরে পাস করেছে অন্টারিও সরকার। এর ফলে কর্মজীবন ও ব্যক্তিজীবনের মধ্যে অধিকতর ভারসাম্য রক্ষিত হবে। ওয়ার্কিং ফর ওয়ার্কারস অ্যাক্টের অধীনে ২৫ জনের বেশি জনবল সম্বলিত অন্টারিওর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে কর্মীর অধিকার সম্পর্কিত লিখিত নীতি প্রণয়ন করতে হবে। যার আওতায় কর্মী কর্মঘণ্টা শেষে কর্মক্ষেত্রের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করার সুযোগ পাবেন। আইন অনুযায়ী, প্রতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১ মার্চের মধ্যে প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানকে কর্মক্ষেত্রের সঙ্গে কর্মীদের সম্পর্কচ্ছেদের অধিকার দিয়ে লিখিত নীতি চালু করতে হবে।