নতুন আক্রান্ত কোভিড-১৯ রোগীদের জন্য নতুন দুটি চিকিৎসার সুযোগ তৈরি হয়েছে, যা বাড়িতেই নেওয়া যাবে। উপসর্গ দেখা দেওয়ার পর যতটা দ্রুত সম্ভব ওষুধগুলো নিতে হবে।
উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা কোভিড রোগীদের ক্ষেত্রে উভয় ওষুধেই হাসাপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর ঝুঁকি কমে আসার প্রমাণ পাওয়া গেছে। যদিও ফাইজারের ওষুধটির কার্যকারিতা বেশি দেখা গেছে।
তবে ওষুধগুলো কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত সব রোগীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। কোভিড-১৯ এর উপসর্গ যাদের মধ্যে মৃদু অথবা মাঝারি মাত্রায় কেবল তাদের ক্ষেত্রেই ওষুধগুলো ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়ান হয়েছে। তাদের মধ্যে বয়স্ক লোকজন যেমন আছেন, একই সঙ্গে আছেন হৃদরোগ, ক্যান্সার অথবা ডায়াবেটিসে ভোগা রোগীরাও। উভয় ওষুধই প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। তবে প্যাক্সলোভিড ওষুধটি ১২ বছর ও তার বেশি বয়সী শিশুদের জন্যও সুপারিশ করা হয়েছে।
মার্কের মলনুপিরাভির শিশুদের ওপর প্রয়োগের অনুমোদন দেওয়া হয়নি। কারণ, হাড়ের বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত করতে পারে এটি। পাশাপাশি নবজাতকের শারীরিক ত্রুটির কারণ হতে পারে বিবেচনায় গর্ভবতী নারীদের ওপরও এটি ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়নি। গুরুতর কিডনি ও যকৃতের সমস্যা রয়েছে এমন ব্যক্তিদের ওপর ফাইজারের ওষুধটি প্রয়োগ না করার সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে যারা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তাদেরকেও অ্যান্টিভাইরাল ওষুদ দুটি ব্যবহার না করতে বলা হয়েছে।
ডিউক ইউনিভার্সিটি হসপিটালের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ক্যামেরন উল্ফ কোভিড-১৯এর উপসর্গ দেখা দেওয়ামাত্র পরীক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, শ^াসকষ্ট দেখা দেওয়া পর্যন্ত যদি অপেক্ষা করেন তাহলে বুঝতে হবে এই ওষুধ কাজ না করার একটা রাস্তা আপনি তৈরি করে দিচ্ছেন।
তবে এই ওষুধ ব্যবহারের আগে আপনাকে সবার আগে কোনো চিকিৎসক বা অনুমোদিত স্বাস্থ্যকর্মীর কাছ থেকে ব্যবস্থাপত্র জোগাড় করতে হবে।
মার্কিন সরকার মার্ক ও ফাইজারের কাছ থেকে অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ দুটি কিনে বিনামূল্যে সসরবরাহ করছে। তবে প্রাথমিকভাবে এর সরবরাহ বেশ সীমিত। হাসপাতালে ভর্তি কোভিড রোগীদের জন্য এখন পর্যন্ত একটিমাত্র ওষুধই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অনুমোদন করেছে এবং সেটি হলো রেমডিসিভির।