ওমিক্রনের সংক্রমণ হ্রাসে আরোপিত পদক্ষেপের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত আরও বেশি সংখ্যক মানুষ যাতে সহায়তা পান সে লক্ষ্যে দুটি কোভিড-১৯ সুবিধা কর্মসূচির সুবিধাভোগী হওয়ার যোগ্যতা সাময়িকভাবে শিথিল করেছে ফেডারেল সরকার। প্রদেশগুলো ব্যবসার ওপর বিধিনিষেধ কঠোর করতে থাকায় প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বুধবার এ ঘোষণা দেন।
ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল ও বিশেষ বিশেষ খাত যেমন সংস্কৃতি, হসপিটালিটি ও ট্যুরিজম খাতের পাশে দাঁড়াতে যাচ্ছি আমরা। আপনি ও আপনার পরিবার যাতে সুরক্ষিত থাকেন সেটা নিশ্চিত করবো আমরা।
এর আগে সংসদে কানাডা ওয়ার্কার লকডাউন বেনিফিট নামে একটি কর্মসূচি অনুমোদিত হয়। কর্মসূচিটির আওতায় কোভিড-১৯ সংক্রান্ত লকডাউনের কারণে কাজ করতে না পারা যেকোনো ব্যক্তি সপ্তাহে ৩০০ ডলার অনুদান পাবেন। লকডাউনের কারণে যেসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধে বাধ্য করা হবে সেগুলোও আইনে অন্তর্ভূুক্ত করা হয়েছে। স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ অনাবশ্যক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ এবং অনাবশ্যক কর্মীদের বাড়ি থাকার নির্দেশ দিলে তখন তাকে লকডাউন বলে সংজ্ঞায়িত করেছে সরকার।
এই সংজ্ঞার আওতায় দেশের কোনো অঞ্চলই আনুষ্ঠানিকভাবে লকডাউনের অধীনে পড়েনি। যার ফলে কেউই এমনকি যেসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে কর্মীদের বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছে তারাও এই সহায়তার আওতার মধ্যে আসেনি।
অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, লকডাউনের সংজ্ঞার আওতা সম্প্রসারণের সিদ্ধান্তের কথা আমরা ঘোষণা করছি, যাতে করে মজুরি ও ভাড়া সহায়তা কর্মসূচি কর্মী এবং ধারণক্ষমতা ৫০ শতাংশে নামিয়ে আনা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কাজে আসে।
সাময়িক এ নীতি ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
ওমিক্রন এখন বেশ কিছু প্রদেশে আধিপত্যকারী ভ্যারিয়েন্ট হয়ে উঠেছে এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ও ধারণক্ষমতা সীমা কমিয়ে আনতে বাধ্য করছে। ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার বার, নাইটক্লাব, জিম, ফিটনেস সেন্টার ও ড্যান্স স্টুডিও মধ্য রাতের আগেই বন্ধ করতে হবে। আলবার্টাও এক হাজারের বেশি ধারণক্ষমতার ভেন্যুর সর্বোচ্চ ধারণক্ষমতা অর্ধেকে নামিয়ে এনেছে। নিউফাউন্ডল্যান্ড ও ল্যাব্রাডরের মতো প্রিন্স এডওয়ার্ড আইল্যান্ডেও বাইরে থেকে কেউ আসলে তাকে আইসোলেশনে যেতে হবে।
এদিকে কুইবেকে টানা তৃতীয় দিনের মতো রেকর্ড সংখ্যক কোভিড রোগী সনাক্ত হয়েছে।