অন্টারিওতে বর্তমানে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় ও লোকজন জমায়েতের প্রস্তুতি নেওয়ায় ভাইরাস সনাক্তে তাদেরকে পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যাওয়া প্রয়োজন। প্রদেশের কেউ কেউ কয়েকশ ডলারে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের মাধ্যমে সুযোগটি কাজে লাগাচ্ছে। কিজিজি’র মতো কিছু সাইটে ৯০ থেকে ৩৫০ ডলারে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট কিটের প্যাকেজ বিক্রির বিজ্ঞাপন দেওয়া হচ্ছে।
টিকটকের একটি পোস্টে কাউকে কাউকে দেখা গেছে যারা বিটিএনএক্স র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট কিট বিক্রি করছে। যদিও একই ব্র্যান্ডের টেস্ট কিট প্রদেশে বিনামূল্যে বিতরণ করা হচ্ছে। পোস্টের ক্যাপশনে বলা হয়েছে, এইমাত্র ২০০ বাক রোজগার হলো। ধন্যবাদ অন্টারিও।
ছুটির দিনে বিনামূল্যে পরীক্ষা করতে কিছু এলসিবিও কেন্দ্রে লোকজনের জড়ো হওয়ার মধ্যেই র্যাপিড কোভিড-১৯ পরীক্ষার চাহিদার বিষয়টি সামনে এসেছে। প্রদেশের অন্তত ১০০টি এলসিবিও রিটেইলার সরকারের বিনামূল্যে র্যাপিড টেস্ট কিট বিতরণ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছে এবং শুক্রবার সকালে বাসিন্দাদের মধ্যে বিনামূল্যে তা বিতরণ করেছে। যদিও সন্ধ্যার মধ্যেই তাদের মজুদ শেষ হয়ে যাওয়ার কথা ঘোষণা করে এলসিবিও।
এক ইমেইল বার্তায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আলেক্সান্দ্রা হিলকেইন বলেন, র্যাপিড টেস্টের যে বড় ধরনের চাহিদা তৈরি হয়েছে সরকার সেটা স্বীকার করছে। অন্টারিওতে র্যাপিড টেস্ট কিটের সরবরাহ সংকট রয়েছে এবং ফেডারেল সরকারের কাছ থেকে পাওয়া প্রতিটি টেস্ট কিট তারা কর্মক্ষেত্র, হাসপাতাল, হোম অ্যান্ড কমিউনিটি কেয়ার, লং-টার্ম কেয়ার হোম, স্কুল ও চাইল্ড কেয়ার সেন্টারগুলোতে পৌঁছে দিয়েছে।
প্রদেশের হিসাব অনুযায়ী, কর্মক্ষেত্র, হাসপাতাল, অন্যান্য জনবহুল স্থাপনায় ৪ কোটি ৫০ লাখ র্যাপিড টেস্ট কিট বিতরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১ কোটি ১০ লাখ বিতরণ করা হয়েছে শীতের ছুটি সামনে রেখে সরকারি স্কুলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে। এটা দেওয়া হয়েছে উপসর্গযুক্ত রোগীদের দ্রুততম সময়ে কোভিড সনাক্তের লক্ষ্যে। এই পদ্ধতিতে পরীক্ষার ২০ মিনিটের মধ্যে ফলাফল জানা সম্ভব। পরীক্ষায় কেউ পরিজিটিভ হলে দ্রুত তাকে আইসোলেট করে নিশ্চিত হওয়ার জন্য পিসিআর পরীক্ষা করার সুবিধা রয়েছে এতে।