
ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের বিস্তার রোধে নতুন করে ধারণক্ষমতার সীমা কমিয়ে আনার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসার জন্য আরও সহায়তা প্রদানে দেশের প্রিমিয়ারদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দ্য কানাডিয়ান ফেডারেশন অব ইন্ডিপেন্ডেন্ট বিজনেস (সিএফআইবি) ও রেস্টুরেন্টস কানাডা। প্রিমিয়ারদের উদ্দেশে লেখা এক খোলা চিঠিতে সিএফআইবির প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড্যান কেলি ও রেস্টুরেন্টস কানাডার প্রধান টড বার্কলে এ আহ্বান জানিয়েছেন।
খোলা চিঠিতে তারা বলেছেন, ওমিক্রনের কারণে কানাডাজুড়ে অনেক ছোট ব্যবসা আবারও বিপুল ক্ষতিতে পড়েছে। ভ্যাকসিন সনদ ব্যবস্থা চালু থাকার মধ্যেই অধিকাংশ প্রদেশ নতুন করে বিধিনিষেধ ঘোষণা করেছে। ওমিক্রন আতঙ্কের আগেও প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিক্রয় মহামারি-পূর্ব অবস্থায় ফিরতে পারেনি। এদের মধ্যে এক-চতুর্থাংশ প্রতিষ্ঠান আগামী ছয় মাসের মধ্যে ব্যবসা গুটিয়ে নিতে হবে বলে জানিয়েছে।
চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, কঠোর বিধিনিষেধের কারণে গ্রাহকদের সেবাদান অস্বাভাবিক কমিয়ে আনার প্রয়োজন পড়লেও হাজার হাজার ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সরকারি সহায়তা নিতে সমর্থ হবে না। আপনাদের মধ্যে হয়তো এই বিশ^াস জন্মেছে যে বিল সি-২ এর আওতায় সরকার মজুরি ও ভাড়ায় ভর্তুকি যে নবায়ন করেছে তার পথ ধরে হাজার হাজার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মহামারির ধাক্কা সামলে এখন পর্যন্ত টিকে আছে। কিন্তু এটা সঠিক নয়। হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম রিকভারি প্রোগ্রামের আওতায় সহায়তা পেতে যে মানদন্ড নির্ধারণ করা হয়েছে তাতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে চলতি মাসে এবং ১২ মাসে ৪০ শতাংশ রাজস্ব ক্ষতি দেখাতে হবে। হার্ডেস্ট হিট রিকভারি প্রোগ্রামের আওতায় সহায়তা পেতে হলে চলতি মাসে রাজস্ব ক্ষতি দেখাতে হবে ৫০ শতাংশ। সেই সঙ্গে ১২ মাস মেয়াদেও একই পরিমাণ রাজস্ব ক্ষতি দেখাতে হবে। নতুন এই ফেডারেল সহায়তা কর্মসূচির আওতায় সহায়তা প্রাপ্তির সুযোগ খুবই সীমিত। সিএফআইবির ওমিক্রন-পূর্ব উপাত্ত বলছে, প্রয়োজন থাকলেও ৮০ শতাংশ ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সহায়তার যোগ্য হবে না।
এ অবস্থায় উভয় সংস্থাই যত দ্রুত সম্ভব বিধিনিষেধ তুলে নিতে প্রদেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। অন্টারিওতে রেস্তোরাঁ, বার, জিম, মুভি থিয়েটার, খুচরা বিক্রয়কেন্দ্র ও পার্সোনাল কেয়ার সার্ভিসেসের ধারণক্ষমতা ৫০ শতাংশে নামিয়ে এনেছে। ইনডোর ডাইনিং বন্ধ করেছে।