বিল ২১ নামে পরিচিত কুইবেকের একটি আইনের ব্যাপারে ফেডারেল আদালতে চ্যালেঞ্জ জানানো হলে এনডিপি তাতে সমর্থন দেবে বলে জানিয়েছেন দলের নেতা জাগমিত সিং। বিলে শিক্ষক ও অন্যান্য সরকারি খাতের কর্মীদের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় ধর্মীয় পরিচয়সূচক চিহ্ন ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আইনটি যে বৈষম্যমূলক, সব সময়ই আমি তা বিশ্বাস করি। কিন্তু কুইবেকের চেলসির একজন শিক্ষিকা আদালতে মামলা করায় আমাদের অবস্থান আরও শক্ত হয়েছে। হিজাব পরার কারণে ওই শিক্ষিকাকে অন্য কাজ দেওয়া হয়।
গ্রেড ৩ এর শিক্ষিকা ফাতেমেহ আনভারিকে বলা হয়, শ্রেণিকক্ষে তিনি আর পাঠদান করতে পারবেন না। কারণ হিজাব পরার মধ্য দিয়ে তিনি কুইবেকের আইন লঙ্ঘন করেছেন। আইনটির বিরোধিতা করে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বিদ্যালয়ের বাইরে বিক্ষোভ করেন। সেই সঙ্গে ওই শিক্ষিকার প্রতি তাদের সমর্থন ব্যক্ত করেন।
অটোয়ায় এক সংবাদ সম্মেলনে জাগমিত সিং বলেন, কুইবেকে হিজাব পরার কারণে একজন মুসলিম শিক্ষিকাকে শ্রেণিকক্ষে পাঠ নিতে না দেওয়া অন্যায়। অথচ তার ভাই, যিনি ধর্মীয় পরিচয়সূচক কোনো চিহ্ন ব্যবহার করেন না তার কাজ করতে কোনো বাধা নেই। চেলসিতে আমরা একজন নারীকে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান থেকে বিরত রাখা হয়েছে। এখন এটা বলার পরিস্কার সময় এসেছে যে, এটা যদি ফেডারেল পর্যায়ে যায় তাহলে ফেডারেল সরকারের তাতে সমর্থন জানানো উচিত।
জাগমিত সিং এর আগেও আইনটির বিরোধিতা করেছিলেন। তবে এ ব্যাপারে ফেডারেল সরকারের হস্তক্ষেপ চাওয়া থেকে বিরত ছিলেন। শিখ ধর্মাবলম্বী এনডিপি নেতা নিজেও টুপি পরিধান করেন। এ কারণে তিনি নিজেও বৈষম্যের শিকার হয়েছেন বলে জানান তিনি।
জাগমিত সিং বলেন, ফেডারেল সরকারের উচিত এই ইস্যুতে কুইবেসারদের পাশে দাঁড়ানো, যারা এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে আদালতে লড়ছেন।
সপ্তাহের গোড়ার দিকে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বিল ২১ এর সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছিলেন। কোনো সময় যদি বিলটির বিরুদ্ধে আইনী লড়াই শুরু হয় তাতে হস্তক্ষেপ করার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেননি তিনি।
কনজার্ভেটিভ নেতা এরিন ও’টুল একে কুইবেকের নিজেদের বিষয় বলে মন্তব্য করেছেন।