
অসুস্থ্য কর্মীদের জন্য সবেতন ছুটি কর্মসূচির মেয়াদ ২০২২ সালের জুলাই পর্যন্ত বাড়াচ্ছে অন্টারিও সরকার। মহামারি শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ সংক্রান্ত আইনটি চালু রাখার ব্যাপারে প্রদেশের শ্রমমন্ত্রী নিশ্চয়তা দিয়েছেন।
এই কর্মসূচির আাওতায় অসুস্থ্য কর্মীরা তিনদিন পর্যন্ত বেতনসহ ছুটি পেয়ে আসছেন। কর্মসূচিটির মেয়াদ এক দফা বাড়ানোর পর ডিসেম্বরে তা শেষ হওয়ার কথা।
মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ডগ ফোর্ড সরকার কর্মসূচিটির মেয়াদ ২০২২ সালের ৩১ জুলাই পর্যন্ত বর্ধিত করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। কর্মকর্তারা বলেন, সবেতন ছুটির ফলে কর্মীরা কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ নেওয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা সময় পাবেন। অথবা শিশুদের ভ্যাকসিন দেওয়ার সময় পাবেন।
এদিন সিটিভি নিউজ টরন্টোর সঙ্গে আলাপকালে অন্টারিওর শ্রমমন্ত্রী মন্টি ম্যাকনটন বলেন, মহামারিজুড়েই অসুস্থ্য কর্মীদের তিনদিনের সবেতন ছুটি দেওয়ার ব্যাপারে তিনি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমি আমার কথা রাখবো এবং এটি নিশ্চিত করবো যে, যতদিন কোভিড-১৯ মহামারি থাকবে ততদিন পর্যন্ত কর্মসূচিটিও বহাল থাকবে। এটা আমার কাছে অগ্রাধিকার। মহামারির মধ্যে কর্মীদের কেউ অসুস্থ্য হলে তারা যাতে তিনদিনের বেতনসহ ছুটি পান সেটা নিশ্চিত করবো। আমি আমার কথা রাখবো এবং শিগগিরই আমরা এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানাবো।
বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হওয়ার কারণে কোনো কর্মী কর্মক্ষেত্রে উপস্থিত হতে না পারলে তিনি তিনদিনের জন্য ছুটিসহ সর্বোচ্চ ২০০ ডলার করে পাবেন। কর্মক্ষেত্রে সুরক্ষা ও ইন্স্যুরেন্স বোর্ডের মাধ্যমে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো পরবর্তীতে এ অর্থ প্রাপ্য হবে।
ম্যানটন বলেন, এখন পর্যন্ত দুই লাখের বেশি কর্মী কর্মসূচিটির আওতায় সুবিধাভোগী হয়েছেন। কর্মীরা এ তিনদিন কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন গ্রহণ, কোভিড-১৯ পরীক্ষা, নিজের অথবা পরিবারের আইসোলেশনের কাজে লাগাতে পারবেন। কর্মীরা দিনগুলোকে মানসিক স্বাস্থ্য দিবস হিসেবেও ব্যবহার করতে পারবেন।
তবে মহামারিকে প্রাদুর্ভাব হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার পরও কর্মসূচিটি চালু থাকবে কিনা সেটা স্পষ্ট নয়। কর্মসূচিটি স্থায়ী করার কোনো পরিকল্পনা ফোর্ড সরকারের আছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে ম্যাকনটন সুনির্দিষ্ট কোনো উত্তর দেননি। বলেছেন, আমার প্রতিশ্রুতি কেবলমাত্র মহামারি সম্পর্কিত।