
কোভিড-১৯ মহামারির কারণে গত শীতে পরিবার থেকে দূরে থাকার পর বড়দিনের উৎসব উদযাপনে জুলাই পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছিল মেগান শেফারসকে। তবে গ্রীষ্মে ক্যান্ডি লগ কেবিনের সাজটা ঠিক একইরকম ছিল না।
নেদারল্যান্ড থেকে তার দুই সন্তান নোভা স্কশিয়ায় আসার জন্য ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ের টিকিট বুক করায় সেই ঐতিহ্য এবার পুষিয়ে নেওয়ার আশা করছিলেন তিনি। তবে তাতেও শংকা জাগাচ্ছে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন। শেফারস বলছিলেন, আমার ১২ বছর ও ৯ বছর বয়সী সন্তানরা হ্যালিফ্যাক্সে তাদের জন্য উপহার খুলতে পারবে কিনা তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। পুরো সজ্জা এখনও করা হয়নি। কারণ, তারা আসলে একসঙ্গেই সেটা করতে চাই। গত বছর ক্রিসমাস ট্রির ব্যবস্থাও করিনি। এবারও কি তাই হতে যাচ্ছে? ক্রিসমাস ট্রি ও সন্তানদের ছাড়া আরেকটি বড়দিন?
ওমিক্রন নিয়ে উদ্বেগ বাড়তে থাকায় যেসব কানাডিয়ানের ছুটির দিনে পরিকল্পনা ঝুলে আছে শেফারস তাদের একজন। ইউনিভার্সিটি অব সাস্কেচুয়ানের কমিউনিটি হেলথ ও এপিডিমিওলজির অধ্যাপক নাজিম মুজাজারিন বলেন, ছুটির মৌসুমে ভ্রমণ ও সমাগমের নিরাপত্তায় ওমিক্রন হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে এমন আশঙ্কায় শীতকালীন উৎসব ছোট করে আনতে হতে পারে। তবে ভাইরাসটির মিউটেশনের ব্যাপারে এখনও কমই জানা যাচ্ছে। আমার মনে হয় সতর্কতা অবলম্বন করাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। বড়দিন ও নববর্ষের পরিকল্পনার জন্য আরেকটু অপেক্ষা করুন।
অনেক বিজ্ঞানীর মতে, ওমিক্রন করোনাভাইরাসের অন্যান্য ধরনের চেয়ে বেশি সংক্রামক। যদি মুহাজারিন বলছেন, এ বিষয়ে ধারণা পেতে অর্থাৎ এটা গুরুতর অসুস্থতার কারণ কিনা বা ভ্যাকসিনের সুরক্ষা ভাঙতে পারে কিনা তা জানতে আরও কয়েক সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে। ওমিক্রনের কারণে দক্ষিণ আফ্রিকায় কোভিড-১৯ আক্রান্তে সংখ্যা দ্রুত বাড়লেও কানাডায় ধরনটি কিভাবে ছড়াবে সে ব্যাপারে পূর্বাভাস করার সময় এখনও আসেনি। কারণ, কানাডায় ভ্যাকসিনেশনের হার অনেক বেশি।
গত বড়দিনের পর টরন্টোতে পরিবারের সঙ্গে দেখা করার ব্যাপারে অনড় লন্ডনে একটি সামাজিত যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবস্থাপক ২৯ বছর বয়সী আলেক্সান্ডার মার্টিনো। ওমিক্রন ছুটির মৌসুমে বিশৃঙ্খলার নতুন ঢেউ বয়ে আনতে পারে এমনটা জানার পরও তিনি তার সিদ্ধান্তে অটল। মার্টিনো বলেন, আমি ইতিবাচক ও আশাবাদী থাকতে চাই। আমি এটা ভাবতে চাই যে, আমি বাড়ি যাচ্ছি।