ভোটার হওয়ার ন্যুনতম বয়স কমানোর দাবিতে ফেডারেল সরকারকে আদালতে তুলছে বেশ কিছু তরুণ। তাদের দাবি, ১৮ বছরের নিচে নাগরিকত্ব ও ভোটাধিকার অস্বীকার করা সংবিধানসম্মত নয়। ভোটার হওয়ার ন্যুনতম বয়স অস্বীকার করা কানাডিয়ান চার্টার অব রাইটস অ্যান্ড ফ্রিডমের দুইটি ধারা লঙ্ঘনের সামিল বলেও মন্তব্য করেন তারা। তাদের মতে, একটি ধারায় বয়স নির্বিশেষে সব কানাডিয়ানের ভোটাধিকারের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে।
কানাডা ইলেকশন্স অ্যাক্ট ফেডারেল নির্বাচনে কানাডিয়ানদের ভোটদানের সর্বনি¤œ বয়স নির্ধারণ করেছে ১৮ বছর। এর বিরুদ্ধেই মামলাটি সারাদেশের ১৩ জন তরুণ, যাদের বয়স ১২ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে। তবে মামলাটির এখনও শুনানি হয়নি।
মঙ্গলবার অন্টারির সুপিরিয়র কোর্টে দাখিল করা মামলার আর্জিতে বলা হয়েছে, ১৮ বছরের আগেই তাদের প্রত্যেকে ভোটাধিকার প্রয়োগের মধ্য দিয়ে কানাডার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অর্থপূর্ণ অংশগ্রহণ করতে চান। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচনী আইনী বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হয়েছে এবং এটা অব্যাহত রাখা উচিত।
মামলার আর্জিতে আরও বলা হয়েছে, পর্যায়ক্রমে কানাডার নারী, অন্য জাতিগোষ্ঠীর মানুষ, আদিবাসী ও বাইরে থাকা নাগরিকদের ভোটের অধিকার সম্প্রসারিত করা হয়েছে। প্রত্যেক নাগরিকের উচিত সামাজিক ও রাজনৈতিক অংশগ্রহণ থেকে বাদ পড়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের অšর্ভুক্ত করাÑএই স্বীকৃতি বাড়তে থাকার ফলেই এটা সম্ভব হয়েছে।
অলাভজনক সংস্থা জাস্টিস ফর চিলড্রেন অ্যান্ড ইয়ুথের মামলায় তরুণরাও সামিল হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন হলেন ১২ বছর বয়সী থারান ডি’সিলভা। তার বক্তব্য, তরুণরাও যথেষ্ট বুদ্ধিমান, রাজনৈতিকভাবে পরিপক্ক এবং সরকারের উচিত এর স্বীকৃতি দেওয়া। স্বাস্থ্য, জলবায়ু পরিবর্তন ও শিক্ষার ব্যাপারে তার আগ্রহ রয়েছে এবং অটিস্টিক শিশুদের ক্লাবে নিয়মিত অংশ নিয়ে থাকে।
মামলার আরেক বাদী নুনাভাটের ইকালুইটের ১৫ বছর বয়সী কেটি উ। তার ব্যাপারে মামলায় বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তন, মানসিক স্বাস্থ্য, আত্মহত্যা প্রতিরোধ এবং এগুলো উত্তরের ওপর কি ধরনের প্রভাব ফেলছে সে ব্যাপারে সচেতনতা তৈরিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সে। ভোটের ক্ষেত্রে ন্যুনতম বয়সের যে বিধিনিষেধ দেওয়া আছে তা নাগরিকদের ভোটের অধিকারের ওপর অন্যায্য নিয়ন্ত্রণ।