
কালেভদ্রে ব্যবহৃত ভূমি পরিকল্পনার যে পদ্ধতিতে তাতে গতি আনছে অন্টারিও সরকার। সেই সঙ্গে স্বাভাবিক পরিকল্পনা পদ্ধতির যে প্রতিবন্ধকা তাও কাটিয়ে ওঠার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে অডিটর জেনারেল বার্ষিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
নিরীক্ষা প্রতিবেদনটি বুধবার প্রকাশ করেছে বনি লিসিকের কার্যালয়। তাতে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের মার্চ থেকে ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত সরকার ৪৪টি মিনিস্টার’স জোনিং অর্ডার জারি করেছে। আগে যেখানে প্রতি বছর একটি অর্ডার জারি করা হতো। তবে ২০১৭ ও ২০১৮ সালে কোনো আদেশই জারি করা হয়নি। ৪৪টি আদেশের মধ্যে ১৭টিই জারি করা হয়েছে সাতটি গ্রুপ বা কোম্পানির জন্য।
লিসিক বলেন, মিনিস্টার’স জোনিং অর্ডার জারি করা হয় সাধারণত বিশেষ পরিস্থিতিতে। তবে সরকার তা জারি করছে সম্ভাব্য প্রতিবন্ধকতা ও উন্নয়ন বিলম্ব হওয়া থেকে পরিত্রাণ পেতে। কখন পদ্ধতিটি মন্ত্রীরা প্রয়োগ করেবন সে ব্যাপারে ধরাবাঁধা কোনো মানদ- নেই।
তিনি বলেন, লং-টার্ম কেয়ার হোমের জন্য যদি কোনো মিনিস্টার’স জোনিং অর্ডার জারি করা হয় তাহলে আমার মনে হয় জনগণ তার সঙ্গে থাকবেন। তবে আপনি যদি জানতে পারেন যে, কেউ একজন জলাভূমিতে কিছু একটা উন্নয়ন করতে চান তাহলে আরও তথ্যের প্রয়োজন হবে।
মিউনিসিপাল অ্যাফেয়ার্স ও হাউজিং মন্ত্রী স্টিভ ক্লার্ক বলেন, এটা আবাসন সংকট দূরীকরণের লক্ষ্যে এবং বাড়ির সরবরাহ বাড়ানোর উদ্দেশ্যে। তাই মিনিস্টার’স জোনিং অর্ডার আরও কাজে লাগানো দরকার। আমাদের মতো অন্য সরকারের অন্য মন্ত্রীরাও যদি পদ্ধতিটি কাজে লাগাতেন তাহলে আবাসন সরবরাহের সংকট থাকতো না। লং-টার্ম কেয়ার বেডের সংকটও হয়তো থাকতো না। অলাভজনক বাড়ি ও লং-টার্ম কেয়ার হোম নির্মাণ এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির ক্ষেত্রে এটা চমৎকার পদ্ধতি বলে আমি মনে করি। এটা এমন আকেটি পদ্ধতি যাতে সরকারের সত্যিকারের আস্থা রয়েছে। খবর: দ্য কানাডিয়ান প্রেস।