কোভিড-১৯ মহামারির কারণে অনেক অস্ত্রোপচার স্থগিত রাখতে হয়েছে। এ ধরনের আটটি গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্রোপচার শেষ করতে সরকারের ১৩০ কোটি ডলার প্রয়োজন বলে কানাডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
কানাডার স্বাস্থ্য খাতের ওপর মহামারির প্রভাব জানতে চাইলে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ডেলোয়িট হিসাব করে দেখিয়েছে সারাদেশে ৩ লাখ ২৭ হাজার ৮০০ প্রোসিডিউর অনিষ্পন্ন অবস্থায় রয়েছে। মোট আটটি অস্ত্রোপচারকে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে এক্ষেত্রে। এগুলো হলো হিপ প্রতিস্থাপন, ছানি অপারেশন, হাটু প্রতিস্থাপন, এমআরআই স্ক্যান, সিটি স্ক্যান, করোনারী আর্টারি বাইপাস ও স্তন ক্যান্সারের অস্ত্রোপচার।
ব্যাপক হারে কোভিড-১৯ এ আক্রান্তের কারণে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রগুলো রোগীতে ভরে ওঠে। এর ফলে হাসপাতালগুলোকে অজরুরি অস্ত্রোপচারের কাজ বাদ রেখে গুরুতর অসুস্থ্যদের দিকে মনোযোগ দিতে হয়। হিপ প্রতিস্থাপনে হাসপাতালগুলোর বিলম্ব হয়েছে গড়ে ১১৯ দিন এবং স্তন ক্যান্সারের অস্ত্রোপচারে ৪৬ দিন।
অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ডা. ক্যাথেরিন স্মার্ট বলেন, স্বাস্থ্য সেবা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে সমস্যা বাড়িয়ে দিয়েছে মহামারি। স্বাস্থ্য খাত পুনর্গঠনে বড় ধরনের চেষ্টা ও প্রতিশ্রুতি দরকার।
ডেলোয়িট তাদের হিসাবে দেখিয়েছে, ২০২২ সালের মধ্যে বিভিন্ন প্রোসিডিউরের অপেক্ষমান সময় মহামারি-পূর্ববর্তী অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে বাড়তি ১৩০ কোটি ডলারের তহবিল প্রয়োজন হবে।
এদিকে অপেক্ষমান সময় শূন্যে নামিয়ে আনতে প্রাদেশিক স্বাস্থ্য সেবা খাতে ৬০০ কোটি ডলার প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল লিবারেল ইলেকশন প্ল্যাটফরম। যদিও এ ধরনের তহবিলের ব্যাপারে বেশ সতর্ক প্রদেশগুলো।
প্রোসিডিউর, ডায়াগনস্টিক ও ক্রনিক ডিজিজ ব্যবস্থাপনায় বিলম্বের পাশাপাশি মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তি ও মাদকসেবীদের সংখ্যা বাড়তে থাকার পরিপ্রেক্ষিতে মহামারি কানাডার স্বাস্থ্য খাতে দীর্ঘমেয়াদী পরিণাম ডেকে আনতে পারে বলে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে প্রতিবেদনে।
স্মার্ট বলেন, মহামারি এখনও চলমান এবং আসছে বছরগুলোতেও এর প্রভাব টের পাওয়া যাবে। পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাওয়ার আগেই অনিস্পন্ন কার্যক্রম সম্পন্নের কাজ অবশ্যই শুরু করতে হবে আমাদের।