
সর্বোচ্চ ধারণক্ষমতা নিয়ে আগামী বছরের জানুয়ারিতেই টরন্টো সিটি তার সব অফিস ভবন খুলে দিচ্ছে। সেই সঙ্গে খ-কালীন সময়ের জন্য হলেও এর কর্মীদের অফিসে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে। প্রদেশে কোভিড-১৯ এর নতুন ধরন নিয়ে জরুরি পরিস্থিতির মধ্যেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে টরন্টো সিটি।
টরন্টো মেয়র জন টরি মঙ্গলবার বলেন, সিটি মালিকানাধীন অফিসগুলো সব কর্মীর জন্য ২০২২ সালের ৪ জানুয়ারি খুলে দেওয়া হবে। যদিও এখনও জনস্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হচ্ছে।
সিটি হল থেকে কোভিড-১৯ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, নিয়ম অনুযায়ী, সম্ভাব্য সর্বোচ্চ ধারণক্ষমতা নিয়ে সিটি অব টরন্টোর সব অফিস ভবন খুলে দেওয়া হবে। মহামারি হ্রাস পাওয়ায় ও প্রাদেশিক সরকার শারীরিক দূরত্ব মেনে চলার নিয়মে পরিবর্তন আনায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে অফিসে লোক বাড়বে। যেসব সিটি কর্মী এখনও বাড়িতে বসে কাজ করছেন তারা হাইব্রিড মডেলের আওতায় অফিসে ফেরার সুযোগ পাবেন।
সিটি কর্তৃপক্ষ মনে করছে, প্রত্যেক কর্মী সপ্তাহে তিন দিন অফিসে এসে কাজ করবেন। বাকি তিন দিন তারা বাড়িতে বসেই কাজ সারবেন।
তবে বাড়িতে বসে কাজের সুযোগ না থাকা ৭৫ শতাংশ কর্মী মহামারির পুরো সময়জুড়েই অফিসে এসে কাজ করছেন। বাড়িতে বসে কাজ করছেন ২৫ শতাংশ কর্মী।
জন টরি বলেন, এই উদ্যোগ অন্য প্রতিষ্ঠানকেও তাদের অফিস খোলায় উৎসাহিত করবে বলে আশা করছি। আমরা যাতে নিরাপদে কর্মক্ষেত্রে ফিরতে পারি এবং অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে পারি সেজন্য সরকারি ও বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানের কর্মক্ষেত্রের জন্যই এটা গুরুত্বর্পণ বার্তা বলে আমি মনে করি।
নগরীর ভ্যাকসিন নীতি অনুযায়ী, অফিসে আসা সিটি কর্মীকে অবশ্যই উভয় ডোজ ভ্যাকসিন নিতে হবে। এ মাসের গোড়ার দিকে সিটি কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয়, সিটি কর্মীদের ৯৮ শতাংশ অন্তত এক ডোজ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন নিয়েছেন। উভয় ডোজ ভ্যাকসিন নিয়েছেন ৯৪ শতাংশ সিটি কর্মী।
যারা ভ্যাকসিন সংক্রান্ত তথ্য দেননি তাদেরকে ছয় সপ্তাহের জন্য বিনা বেতনে বরখাস্ত করা হয়েছে। ১৩ ডিসেম্বরের মধ্যে তারা ভ্যাকসিন ডোজ পূর্ণ না করলে পর্যায়ক্রমে তাদেরকে চাকরিচ্যুত করা হবে।
এদিকে অফিস ভবনের পাশাপাশি সিটি হল, মেট্রো হল ও সিভিক সেন্টারগুলোও ৪ জানুয়ারি থেকে খুলে দেওয়া হবে।