
কোভিড-১৯ মহামারি থেকে বেরিয়ে আসতে থাকা অর্থনীতির জন্য নতুন সহায়তা প্যাকেজের একটি রূপরেখা তৈরি করেছে জাস্টিন ট্রুডোর লিবারেল সরকার। তাতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসা, লকডাউনে পড়া কর্মীদের সুনির্দিষ্ট সহায়তার প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া সদ্য সমাপ্ত সহায়তাও কয়েক সপ্তাহ বাড়ছে।
শীতকালীন বন্ধের আগেই সরকার হাউজ অব কমন্সে যে চারটি বিল পাসের আশা করছে, এ সংক্রান্ত আইনটিও আছে তার মধ্যে। বুধবার এটি উপস্থাপন করা হয়।
কোভিড-১৯ সংশ্লিষ্ট লকডাউনের কারণে যেসব কর্মীকে এখন থেকে ২০২২ সালের বসন্ত পর্যন্ত কাজের বাইরে থাকতে হবে তাদেরকে সপ্তাহে ৩০০ ডলার দেওয়ার প্রস্তাব করেছে লিবারেল সরকার। ২৪ অক্টোবর থেকে ভুতাপেক্ষ এ সহায়তা দেওয়া হবে। কর্মহীন ব্যক্তিদের জন্য প্রদেয় মহামারিকালীন সহায়তার মেয়াদ ওইদিনই শেষ হয়েছে। কানাডা রিকভারি বেনিফিটের আওতাধীন সিকনেস ও কেয়ারগিভার বেনিফিটের মেয়াদ ৭ মে পর্যন্ত বাড়ানো হচ্ছে। মজুরি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ভাড়ায় ভর্তুকিও আরও উদার করার প্রস্তাব দিয়েছে লিবারেল সরকার। এখনও ধুঁকতে থাকা পর্যটন, বিনোদন ও আতিথেয়তা খাতের পাশাপাশি মুভি থিয়েটার, আর্কেড, ক্যাসিনো ও জিমের ক্ষেত্রেও এটা প্রযোজ্য হবে। সবাইকে এজন্য বড় ধরনের রাজস্ব হারানোর প্রমাণ দিতে হবে।
কানাডিয়ান ফেডারেশন অব ইন্ডিপেন্ডেন্ট বিজনেসেসের প্রেসিডেন্ট ড্যান কেলি সহায়তার জন্য যোগ্য কোম্পানির তালিকা সম্প্রসারণের প্রশংসা করেছেন। তবে রাজস্ব হারানোর যে উচ্চ সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে তাতে করে অনেক ছোট ব্যবসা এ থেকে বাদ পড়ে যাবে বলে মনে করেন তিনি।
একইভাবে রেস্টুরেন্টস কানাডাও রাজস্ব হারানোর সীমা কমিয়ে আনতে লিবারেল সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। আর্থিকভাবে ভালো অবস্থানে থাকা প্রতিষ্ঠানও মহামারি সামলে টিকতে পারবে না আশঙ্কা থেকে এ আহ্বান জানিয়েছে তারা। অ্যাসোসিয়েশনের ফেডারেল ও কুইবেক বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট অলিভিয়ের বোরবিউ বলেন, কয়েক মাস ধরেই আমরা খাতভিত্তিক সহায়তার দাবি জানিয়ে আসছি। আমাদের চাওয়ার সামান্য আমরা পেয়েছি।
মজুরি বাড়িয়ে, চাকরিচ্যুতি কর্মীদের ফিরিয়ে এনে অথবা নতুন কর্মী নিয়োগের মাধ্যমে যেসব কোম্পানি বেতনের পরিমাণ বাড়াবে তাদের জন্য হায়ারিং ক্রেডিটের মেয়াদও মে পর্যন্ত বর্ধিত করতে চায় সরকার। তবে সহায়তা পেতে এই ক্রেডিট রাজস্ব ক্ষতির মতো অতোটা বড় নয়।
লিবারেল সরকার বলছে, মহামারির শুরুতে অর্থনীতি যতটা সংকটে ছিল এখন আর অতোটা সংকটে নেই। মহামারির শুরুর দিকে ২০২০ সালের মার্চ ও এপ্রিলে ৩০ লাখ লোক কাজ হারিয়েছিলেন। এরপপর কর্মসংস্থান মহামারি-পূর্ব অবস্থায় ফিরে এসেছে। যদিও ছয় মাস বা তার বেশি সময় ধরে কর্মহীন আছেন এমন মানুষের সংখ্যা হিসাবে নিলে বেকারত্বের হার কোভিড-পূর্ববর্তী সময়ের চেয়ে বেশি রয়েছে।