বাংলাদেশী-কানাডিয়ান আইনজীবী ব্যারিস্টার সোহানা চৌধুরী হেরিটেজ বিয়ন্ড বর্ডারস কর্তৃক প্রদত্ত “ওম্যান অফ সাবস্টেন্স” সম্মাননা পেয়েছেন। গত ২৭ নভেম্বর শনিবার মিসিসাগার এপোলো কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত এক বর্নাঢ্য অনুষ্ঠানে বাংলাদেশী, ভারতীয়, পাকিস্তানী, ক্যারিবিয়ান, ফিলিপিনো সহ আরো বেশ কয়টি এথনিক কমিউনিটির নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে হেরিটেজ বিয়ন্ড বর্ডারস (HBB) এর প্রেসিডেন্ট নীল নান্দা সোহানার হাতে এই সম্মাননা তুলে দেন। একজন ব্যারিস্টার এবং সলিসিটর হিসাবে ক্রিমিনাল ‘ল এবং ফ্যামিলি ‘ল বিষয়ে মানুষকে সেবা প্রদানে অনন্য অবদান রাখার জন্য এই সম্মাননা দেয়া হয়। পরিচিতি পর্বে HBB এর কর্মকর্তা শান্তনু ব্যানার্জী বলেন, একজন আইনজীবী হিসাবে নিজের নিয়মিত দায়িত্বের বাহিরে গিয়েও সোহানা বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কর্মকান্ডে প্রতিনিয়ত অবদান রেখে যাচ্ছেন। বিশেষ করে বিচার প্রক্রিয়ার প্রাথমিক পর্বেই নারী অথবা পুরুষ যে কারো পক্ষেই কোনো ধরনের পক্ষপাতমূলক মানসিকতার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ফোরামে তিনি সোচ্চার হয়েছেন। HBB আশা করে যে এই সম্মাননা সোহানার সেইসব কর্মকান্ডকে আরো উৎসাহিত করবে।
হেরিটেজ বিয়ন্ড বর্ডারস কানাডা ফেডারেল সরকার কর্তৃক নিবন্ধিতএকটি সংগঠন যারা প্রতি বছর কানাডার মাল্টিকালচারাল সমাজে বিভিন্ন এথনিক কমিউনিটিতে সমাজ ও মানব সেবায় বিশেষ অবদান রেখে যাওয়া ব্যক্তিত্বদের সম্মানিত করে থাকে। এতগুলো এথনিক কমিউনিটির সমাজকর্মী, মানবাধিকার কর্মী, আইনজীবী আর অন্যান্যনামি ব্যক্তিত্বদের মধ্যে থেকে সোহানার এই সম্মান প্রাপ্তিকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত বাংলাদেশী-কানাডিয়ান কমিউনিটির বেশ কয়েকজন সদস্য নিজেদের গর্বের বিষয় বলে অভিমত প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশী-কানাডিয়ান এমপিপি ডলি বেগমের হাত থেকে আজীবন সম্মাননা পুরস্কার গ্রহণ করেন বর্তমানে অবসর নেয়া বর্ষীয়ান পার্লিয়ামেন্টারিয়ান এবং টরোন্টোর পার্কডেল আসন থেকে প্রায় দুইদশক ধরে নির্বাচিত এমপিপি টনি রূপরেচট।
উল্লেখ্য যে, ব্যারিস্টার সোহানা চৌধুরী লন্ডনের লিংকন’স ইন থেকে ব্যারিস্টার-এট-ল ডিগ্রী অর্জন করে পরবর্তীতে কানাডার প্রখ্যাত অসগুডহল ল স্কুল থেকে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন। এরপর তিনি টরোন্টোর অন্যতম খ্যাতিমান ক্রিমিনাল লইয়ার ডেভিড জি ব্যালিস এর সাথে কাজ করেছেন। পরবর্তীতে তিনি ক্রাউন অ্যাটর্নি হিসাবে অসোয়া কোর্টে দায়িত্বরত ছিলেন। বর্তমানে তিনি টরন্টোর স্বনামধন্য আইনজীবী ব্যারিস্টার রিজওয়ান রহমান এর অ্যাসোসিয়েট হিসাবে কমিউনিটিতে ক্রিমিনাল এবং ফ্যামিলি ল বিষয়ক আইনী সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।