কনভার্সন থেরাপি (সেক্সুয়াল ওরিয়েন্টেশন বদলে ফেলা) নিষিদ্ধে বিল আনছে ফেডারেল সরকার। সোমবার বিলটি আনার কথা। এর ফলে নির্বাচনের সময় দেওয়া প্রতিশ্রুতি যেমন পূরণ হবে, একইসঙ্গে আগেরবার সংসদে আনা এ ধরনের আইনের ফাঁকফোকরগুলোও বন্ধ হবে। বিলটি পাস হলে সেক্সুয়াল ওরিয়েন্টেশন বা লিঙ্গ পরিচয় বদলের চেষ্টা অবৈধ বলে বিবেচিত হবে।
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কনভার্সন থেরাপি অবৈধ ঘোষণা করা তাদের অগ্রাধিকারের মধ্যে রয়েছে। নতুন সরকার গঠনের প্রথম ১০০ দিনের মধ্যে বিলটি পুনরায় সংসদে উপস্থাপনের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল লিবারেল পার্টি। বিলের সাম্প্রতিক ভাষ্যটি বিচারমন্ত্রী ডেভিড লামেট্টি ও জেন্ডার ইকুয়ালিটি অ্যান্ড ইয়ুথ বিষয়ক মন্ত্রী মার্সি আইয়েন উপস্থাপন করবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
সি-৬ নামে পরিচিত আগের বিলটিও এমপিদের সমর্থন পেয়েছিল। একইসঙ্গে কনজার্ভেটিভ ককাসের অর্ধেক সদস্যের কাছ থেকে বিরোধিতার মুখেও পড়েছিল। সংসদে বিলটিতে ব্যাপক সংশোধনী আনা হয় এবং বিরোধীদের সমালোচনার মুখে পড়তে হয়। এক্ষেত্রে তাদের যুক্তি ছিল যে চর্চা ক্ষতিকারক তার প্রতি সমর্থন দেওয়া অবৈধ।
নো কনভার্সন কানাডা বলেছে, যেসব তরুণ কনভার্সন থেরাপিতে সম্মতি দেয় তারা জানে যে তারা কি করতে যাচ্ছে। বেশিরভাগ সময়ই তারা এটা করে পরিবার ও ধর্মীয় নেতাদের চাপে পড়ে। আমাদের কথা হচ্ছে, নতুন বিলটি আগেরটির চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী। অধিবেশনের শুরুতেই এটি উপস্থাপন করাটা শুভ সংবাদ।
নতুন এ বিলটিতে এনডিপি, ব্লক কুইবেকোয়িস, গ্রিন পার্টি, কনজার্ভেটিভ নেতা এরিন ও’টুল ও তার দলের অনেক সদস্যের সমর্থন থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও কনজার্ভেটিভ ককাসের অর্ধেকের বেশি সদস্য আগের বিলটির বিরোধিতা করেছিলেন। তবে এবার অনেক টোরি এমপি বিলের পক্ষে তাদের সমর্থন দেবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, মাল্টা, জার্মানিসহ বিশে^র অনেক দেশেই কনভার্সন থেরাপি নিষিদ্ধ।