
পাশবিক সাংস্কৃতিক চর্চা নিয়ে ২০১৫ সালের নির্বাচনী প্রচারণায় সময় চালু করা হটলাইন কনজার্ভেটিভ পার্টিকে এখনও তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন এরিন ও’টুলের চিন্তাধারা প্রচারে নিয়োজিত নেতৃস্থানীয় এমপি টিম উপল। এটা জাতিগত কমিউনিটির সঙ্গে সম্পর্ক তৈরির উদ্যোগের পথে বাধা বলেও মনে করেন তিনি।
২০১৫ সালে ফেডারেল নির্বাচনের সময় উপল স্টিফেন হারপারের মন্ত্রিসভায় বহু সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। ওই সময় তথাকথিত বর্বোরচিত সাংস্কৃতিক চর্চার কথা বলে হটলাইন চালু করা হয়। এর মধ্য দিয়ে তারা সব জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে কানাডিয়ান মূল্যবোধের রক্ষক হিসেবে নিজেদের হাজির করতে চেয়েছিল।
নির্বাচনের আগের কয়েক মাস হারপার বেশ কিছু পদক্ষেপের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক বিভাজন তৈরিতে ব্যয় করেন। নেকাব পরা নিষিদ্ধ করা এর মধ্যে অন্যতম। উপল নিজেই এর বড় সমর্থক ছিলেন। তার এ অবস্থানের জন্য গত জুনেই অবশ্য ক্ষমা চেয়েছেন তিনি। অন্টারিওর লন্ডনে গাড়ি চাপায় একটি মুসলিম পরিবারের কয়েকজন নিহত হওয়ার কয়েক দিন পরই ক্ষমা চান তিনি।
সম্প্রতি দ্য কানাডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে উপল বলেন, আজকের কনজার্ভেটিভ পার্টির অধীনে সেটা হওয়া উচিত নয়।
হারপারের মন্ত্রিসভায় অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন আলবার্টার প্রিমিয়ার জেসন কেনি। বড় শহরগুলোর ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভোটে জয়লাভে সহায়তা করেন তিনি। ওয়ার্ল্ড শিখ অর্গানাইজেশন কানাডার মুখপাত্র ও আইনজীবী বালপ্রিত সিং এ প্রসঙ্গে বলেন, কেনি যুগে তুলনামূলক নীরবতা অবলম্বন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে আলবার্টার এমপি গার্নেট জিনিয়াসের মতো কিছু ব্যক্তির উদ্যোগকে রক্ষা করা হয়েছে।
সংগঠনটি সম্প্রতি ও’টুল এবং উপলের সঙ্গে সাক্ষাত করে। সাক্ষাতে যোগাযোগের পথ উন্মুক্ত রাখার ব্যাপারে গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে বলে জানান সিং। তার বিশ^াস, অন্টারিওর ব্র্যাম্পটনের মতো এলাকায় কত সংখ্যক কমিউনিটি সদস্য দলের আর্থিক নীতিকে পছন্দ করছেন তা বিবেচনায় নিয়ে কনজার্ভেটিভদের সমর্থক বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। কিন্তু ২০১৫ সালের নির্বাচনী প্রচারণার সময় দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলো এক্ষেত্রে অস্বস্তি তৈরি করছে।