
ক্ষতিকর অনলাইন কন্টেন্ট রুখতে কানাডার প্রস্তাবিত পরিকল্পনা নিয়ে শীর্ষস্থানীয় টেক কোম্পানি হিসেবে প্রথম কথা বললো গুগল। গুগল কানাডার এক ব্লগ পোস্টে বলা ইন্টারনেট জায়ান্টটি বলেছে, সরকারের এ প্রস্তাবের অপব্যবহার ও এর ফলে বৈধ কন্টেন্টও সরিয়ে নিতে হতে পারে।
ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব ও পর্ণহাবের কন্টেন্ট নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা দিয়ে গত জুলাইয়ে নতুন ডিজিটাল সেফটি কমিশন (ডিএসসি) গঠন করে সরকার। ঘৃণাত্মক কন্টেন্টের পাঁচটি ধরণ চিহ্নিত করে সরকার এবং অভিযোগ পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এগুলো মনিটর করার কথা বলা হয়। এগুলো হলো ঘৃণাত্মক বক্তৃতা, শিশুদের যৌন নিপীড়ন, অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ছবি কারও অজ্ঞাতে প্রচার, সহিংসতায় উস্কানি ও সন্ত্রাসবাদি কন্টেন্ট।
গুগল বলছে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোনো কন্টেন্ট প্লাটফরম থেকে সরিয়ে ফেলার প্রস্তাবের কারণে কাউকে হয়রানি করতে বা বাক স্বাধীনতা সীমিত করতে অন্যরা এর সুযোগ নিতে পারে। গতি ও নির্ভুলতার মধ্যে একটা ভারসাম্য থাকা দরকার।
গুগল বলছে, ২০২১ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ১ কোটি ৭২ লাখ ভিডিওর মধ্য থেকে ব্যবহারকারীদের আপত্তি জানানো প্রায় ৩ লাখ ভিডিও সরিয়ে ফেলা হয়েছে। যদিও কমিউনিটি নীতিমালা লঙ্ঘনের ঘটনায় গুগল নিজে সরিয়েছে ৬২ লাখ ভিডিও। অর্থাৎ আপত্তি জানানোই ঘৃণাত্মক কন্টেন্ট বন্ধ করার প্রধান নিয়ামক নয়।
আগ বাড়িয়ে কন্টেন্ট মনিটরিংয়ের বিরুদ্ধে সতর্ক বাণী উচ্চারণ করেছে গুগল। তারা বলছে, এর মধ্য দিয়ে বৈধ মত প্রকাশ দমন করা হতে পারে।
নতুন প্রস্তাবের ফলে কোনো ঘৃণাত্মক কন্টেন্টের সম্ভাবনা দেখলে প্লাটফরমগুলোকে তা রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ অথবা অন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে জানাতে বলা হয়েছে। কোনো প্ল্যাটফরম শিশু নির্যাতন বা সন্ত্রাসবাদি কন্টেন্ট সরাতে অসম্মতি জানালে টেলিযোগাযোগ কোম্পানিগুলো যাতে ওই প্ল্যাটফরমের অ্যাকসেস বন্ধ করে দেয় সেজন্য আদালতের আদেশের জন্য আবেদন করতে পারবে ডিএসসি।