
ভিত্তি তহবিলের আকার কমিয়ে আনা সত্ত্বেও স্কুল, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের জন্য এ বছর বেশি ব্যয় করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে অন্টারিও সরকার। অর্থনৈতিক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবারের আর্থিক হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, শিক্ষায় ভিত্তি তহবিলের আকার মোটামুটি ৩ হাজার ৮০ কোটি ডলার। ২০২১ সালের বাজেটে প্রাথমিকভাবে রেখে দেওয়া অর্থের চেয়েও পরিমাণটা কম। ২০২১ সালের বাজেটে রেখে দেওয়া হয়েছে ৩ হাজার ১২৬ কোটি ডলার।
এ ব্যবধানের বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, ২০২০-২১ থেকে ২০২১-২২ পর্যন্ত কোভিড-১৯ এর জন্য সময়বদ্ধ হতবিল, চাইল্ডকেয়ার সেবায় ভর্তুকি ও শিক্ষকদের পেনশনসহ শিক্ষায় মোট তহবিলের আকার ২৩ কোটি ডলার বাড়ছে। কিন্তু ভিত্তি তহবিলের বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে শনিবার কিছু তথ্য সরবরাহ করা হয়। তাতে দেখা যায়, ভিত্তি তহবিল কম হলেও শিক্ষায় কোভিড টাইম-লিমিটেড তহবিল হিসেবে ৭৬ কোটি ডলার যুক্ত হয়েছে। এর ফলে শিক্ষায় সরকারের মোট ব্যয়কে ৩ হাজার ১৫৬ কোটি ডলারে উন্নীত করেছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেন, মার্চে বাজেটের সময় কোভিড-১৯ তহবিলের ব্যাপ্তি কতটা হবে তা পুরোপুরি আন্দাজ করা যায়নি। তাই এটা ভিত্তি তহবিলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ফল ইকোনমিক স্টেটমেন্টে আরও তথ্যের ভিত্তিতে সরকারের পরিকল্পনার হালনাগাদ দেওয়া হয়েছে।
তবে ঠিক কত সময় পর্যন্ত কোভিড-১৯ তহবিল অব্যাহত থাকবে সে ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কিছু বলা হয়নি। অথবা ২০২২-২০২৩ সালে শিক্ষায় ভিত্তি তহবিল নিয়ে কি করা হবে কিছু বলা হয়নি সে ব্যাপারেও।
শিক্ষামন্ত্রী স্টিফেন লেচি শুক্রবার বলেন, অভিভাবকরা যখন অন্টারিওর স্কুল তহিবলের দিকে তাকাবেন তখন দৃষ্টিভঙ্গিটা সামগ্রিক হতে হবে।
এদিকে শিক্ষায় ভিত্তি তহবিল কর্তনের কোনো কারণ নেই বলে শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে অন্টারিও লিবারেল পার্টি। দলীয় নেতা স্টিভেন ডেল ডুকা বিবৃতিতে বলেন, স্কুলে বিনিয়োগ করা যখন জরুরি ঠিক সেই সময় কেন তহবিল কাটছাট করা হলো ডগ ফোর্ডের কাছে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষাকর্মীরা তার জবাব চান। ডগ ফোর্ড আমাদের শিশুদের ভবিষ্যত ছিনতাই করে তার অতি ধনী বন্ধুদের জন্য মহাসড়ক কিনছেন।
বিতর্কিত হাইওয়ে ৪১৩ এর প্রসঙ্গ টেনে এ মন্তব্য করেন তিনি। বর্তমানে এটি নকশা তৈরির পর্যায়ে আছে।
এনডিপি নেতা আন্দ্রিয়া হরওয়াথ বৃহস্পতিবার বলেন, সরকারি শিক্ষা থেকে ফোর্ড সরকার অতিরিক্ত অর্থ বের করে নিচ্ছে, যা পীড়াদায়ক।