
ইথিওপিয়ার নিরাপত্তা পরিস্থিতি ক্রমে খারাপের দিকে যাওয়ায় কূটনীতিক পরিবারগুলোর সদস্য ও অনাবশ্যক কর্মীদের দেশটি থেকে ফিরিয়ে আনছে কানাডা। অত্যাবশ্যক কর্মীদেরই কেবল রাখঅ হচ্ছে সেখানে।
গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডা এক বিবৃতিতে বলেছে, দেশটির উত্তরাঞ্চলে সহিংসতার কারণে পরিস্থিতি দ্রুত খারাপের দিকে যাচ্ছে। এ অবস্থায় কানাডিয়ানদের নিরাপত্তাই সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার।
কেউ যদি নিরাপদে ইথিওপিয়া ছাড়তে পারবেন বলে মনে করেন তাহলে তাকে সে উদ্যোগ গ্রহণেরও আহ্বান জানিয়েছে গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডা। সেই সঙ্গে ইথিওপিয়ায় অবস্থানরত সব কানাডিয়ানকে গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্সের ভ্রমণ পরামর্শ দেখে নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
গ্লোবাল অ্যাফেয়াস বলছে, আদ্দিস আবাবায় কানাডার দূতবাস খোলা আছে এবং জরুরিভিত্তিতে কোনো কানাডিয়ানের সাহায্যের দরকার হলে কনস্যুলার কর্মকর্তারা তা দিতে তৈরি আছেন।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর টিগরে পিপল’স লিবারেশন ফ্রন্ট (টিপিএলএফ) ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে লড়াই শুরু হওয়ার পর টিগরে, আমহারা ও আফারের ৫২ লাখ মানুষের জরুরি সহায়তার প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক হারে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তো আছেই, পাশাপাশি হাজারো মানুষ নিহত ২০ লাখের বেশি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডা জানিয়েছে, ইথিওপিয়ার জনগণের পাশে রয়েছে কানাডা। মানবাধিকার ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের লঙ্ঘন খুবই উদ্বেগের। কানাডা আশু যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাচ্ছে। সেই সঙ্গে ইথিওপিয়ার উত্তরাঞ্চলে বেসামরিক লোকজন ও মানবাধিকার কর্মীদের ওপর নির্বিচার আক্রমণের অবসান চাইছে। মানবাধিকারকে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে।
রোববার এক টুইটে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি বলেন, পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে ইথিওপিয়ায় কানাডার রাষ্ট্রদূত স্টিফেন জোবিনের সঙ্গে তিনি টেলিফোনে কথা বলেছেন। ইথিওপিয়ায় স্বজনদের নিয়ে যেসব কানাডিয়ান উদ্বেগের মধ্যে আছেন তাদের প্রতি আমাদের সহানুভুতি রয়েছে।