
হাউজিং অ্যাফোর্ডেবিলিটি টাস্কফোর্স গঠনের পরিকল্পনা করছে অন্টারিও। গত বছর বাড়ির বিক্রি ও দাম উভয়ই উর্ধ্বমুখী থাকায় এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যদিও একে অর্থহীন বলছেন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো।
প্রদেশের উত্তপ্ত আবাসন বাজারের তাৎপর্যপূর্ণ চিত্রটি পাওয়া যাবে সম্প্রতি প্রকাশিত ফল ইকোনমিক স্টেটমেন্টে। স্টেটমেন্ট অনুযায়ী, ২০২০-২১ অর্থবছরে অন্টারিও ৩৭০ কোটি ডলার রাজস্ব পেয়েছে কেবল জমি হস্তান্তর কর বাবদ। এ অর্থবছর পরিমাণটা ৫০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে প্রাক্কলন করা হয়েছে। মাস তিনেক আগে অন্টারিওর ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক বিবরণীতে উল্লেখিত প্রক্ষেপণের চেয়েও এটা ৭৫ কোটি ৯০ লাখ ডলার বেশি।
ফল ইকোনমিক স্টেটমেন্টে হাউজিং অ্যাফোর্ডেবিলিটি টাস্কফোর্স গঠনের প্রতিশ্রুতির কথাও বলা হয়েছে, যার কাজ হবে মিউনিসিপ্যাল অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড হাউজিং মন্ত্রীর কাছে সুপারিশ তুলে ধরা। সরকার আবাসন সরবরাহের কর্ম পরিকল্পনা প্রণয়নের চেষ্টা করছে বলে জানান মিউনিসিপ্যাল অ্যাফেয়াস অ্যান্ড হাউজিং মন্ত্রী স্টিভ ক্লার্কের একজন মুখপাত্র। তিনি বলেন, আমরা জানি যে অনেক কিছু করার এখনও বাকি। এ কারণেই যাতে দ্রুত বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরুর সুযোগগুলো খুঁজে দেখতে ও প্রতিবন্ধকতাগুলো দূর করে কঠোর পরিশ্রমী কানাডিয়ানদের জন্য আবাসনকে সাশ্রয়ী করতে হাউজিং অ্যাফোর্ডেবিলিটি টাস্কফোর্স গঠন করছি আমরা। বাজারে বাড়ির সরবরাহ ও দামের বিষয়ে সহায়তা দেওয়ার পদ্ধতিগুলো খুঁজে দেখবে এ টাস্কফোর্স। সেই সঙ্গে অন্টারিওর আবাসন সংকট নিয়ে সরকারকে প্রয়োজনীয় কৌশল ও পরামর্শ প্রদান করবে এটি।
প্রোগ্রেসিভ কনজার্ভেটিভ সরকারের বর্তমান পরিকল্পনা হচ্ছে নতুন বাড়িতে আরও বিনিয়োগ করা এবং গত বছরের তুলনায় এ বছর নতুন বাড়ি নির্মাণের কাজ ১৬ শতাংশ বেড়েছে। এছাড়া ভাড়া বাড়ি নির্মাণ বেড়েছে ১৪ শতাংশ।
এদিকে অন্টারিওর রিসেল বাজার ২০২১ সালের মার্চে অন্য উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছিল। তবে সেপ্টেম্বরে বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরেছে। তারপরও ওই মাসে অন্টারিওতে বাড়ির গড় রিসেল মূল্য ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ মহামারি পূর্ববর্তী সময়ের চেয়ে ৩১ দশমিক ৪ শতাংশ বেশি ছিল।