
কোভিড-১৯ মহামারি স্বাস্থ্য সেবায় যে হারে ব্যয় বাড়িয়েছে তাতে করে মহামারি পরবর্তীতে আর্থিক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। কারণ, মহামারি পরবর্তীতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে পুনর্গঠন করতে হবে বলে মনে করছে কানাডিয়ান ইনস্টিটিউট অব হেলথ ইনফরমেশন (সিআইএইচআই)।
নতুন এক প্রতিবেদনে সিআইএইচআই প্রাক্কলন করেছে, ২০২১ সালে স্বাস্থ্য সেবা খাতে ব্যয় দাঁড়াতে পারে রেকর্ড ৩০ হাজার ৮০০ কোটি ডলার। এ ব্যয় কানাডিয়ানপ্রতি প্রায় ৮ হাজার ১৯ ডলার।
সিআইএইচআইয়ের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ও’টুল এক বিবৃতিতে বলেছেন, আমাদের দেখামতে একক খাত হিসেবে কোভিড-১৯ কানাডায় সবচেয়ে বেশি ব্যয় বাড়িয়েছে স্বাস্থ্য সেবা খাতে।
২০১৯ থেকে ২০২০ সালে স্বাস্থ্য খাতে ১২ দশমিক ৮ শতাংশ ব্যয় বেড়েছে বলে ধারণা করা হয়ে থাকে। ২০১৫ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বার্ষিক যে প্রবৃদ্ধির হার এটা তার প্রায় তিনগুন। ওই সময় পর্যন্ত কানাডায় বার্ষিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৪ শতাংশ। ২০২০ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে এ ব্যয় আরও ২ দশমিক ২ শতাংশ বাড়বে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
সংস্থাটি বলছে, ব্যয়ের চূড়ান্ত হিসাব পাওয়ার পর তাদের হিসাবও হালনাগাদ করা হবে। মহামারির সময় যেভাবে জরুরি তহবিল ব্যয় করা হয়েছে সে কারণে স্বাভাবিকের মতো এ হিসাব সঠিক নাও হতে পারে।
সাধারণত স্বাস্থ্যখাতে ব্যয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির চেয়ে সামান্য বেশি বৃদ্ধি পায়। প্রদেশগুলোর সামনে কঠিন সময় এলে তারা সাধরণত স্বাস্থ্য খাতে কম ব্যয় করে থাকে। কিন্তু ২০২০ সালে সক্ষমতা বৃদ্ধি, পরীক্ষা ও কোভিড মোকাবেলায় অন্যান্য যে পদক্ষেপ তা ছিল দেশের অর্থনীতি সংকুচিত হওয়ার সঙ্গে তাল রেখে। সাম্প্রতিক ফেডারেল বাজেট অনুযায়ী, ওই বছল জিডিপি সংকুচিত হয়েছিল ৪ দশমিক ৬ শতাংশ।
তবে মহামারির আগেও কয়েক দশক ধরেই স্বাস্থ্যখাতে ব্যয় ধারাবাহিকভাবে বাড়ছিল। মহামারির কারণে স্বাস্থ্যখাতে যে ব্যাকলগ তৈরি হয়েছে তা থেকে বেরিয়ে আসতে সদ্য সমাপ্ত ফেডারেল নির্বাচনের প্রচারণাতেও বাড়তি ৬০০ কোটি ডলার জোগানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে লিবারেল পার্টি। যদিও ওই তহবিলের সুনির্দিষ্ট চাহিদা নিয়ে প্রদেশ ও অঞ্চলগুলোর সঙ্গে এখনও দর কষাকষি চলছে। এছাড়া পারিবারিক চিকিৎসক, নার্স ও নার্স প্র্যাক্টিশনার নিয়োগে আরও ৩২০ কোটি ডলার বরাদ্দেরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে লিবারেল পার্টি।