এক বছর আগের এই সপ্তাহে জো বাইডেনের কাছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের হেরে যাওয়ার ঘটনাটি মনে আছে? স্মরণ করতে পারেন?
মার্কিন পেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফলকে স্বীকৃতি দিতে কয়েক দিন লেগেছিল। এর পরপরই জাস্টিন ট্রুডো টুইটারে নিজের হাস্যোজ্জল একটি ছবি পোস্ট করেন, যাতে তার চোখ ছিল নিচের দিকে নামানো। এরপর টুইটারে তিনি লেখেন, এইমাত্র বাইডেনের সঙ্গে আমার কথা হলো এবং জয়লাভের জন্য আবারও তাকে অভিনন্দন জানালাম। এর আগেও আমরা এক সঙ্গে কাজ করেছি। দুই দেশের সামনে যেসব চ্যালেঞ্জ ও সুযোগগুলো রয়েছে সেগুলো লুফে নিতে প্রস্তুত আছি।
এর কয়েক সপ্তাহ পর ট্রুডো লেখেন, মার্কিন নেতৃত্ব অনুপস্থিত।
এর পরের ঘটনা? ট্রুডোর অনুরোধ সত্ত্বেও কিস্টোন এক্সএল: পাইপলাইন প্রকল্প বন্ধ করে দেন বাইডেন। সেই সঙ্গে ‘বাই আমেরিকান’ প্রচারণারও প্রতিশ্রুতি দেন। যদিও ট্রুডো এর আগে বলেছিলেন, বাইডেন আমাদের সঙ্গে কাজ করতে চান। ট্রুডো ভ্যাকসিনেটেড আমেরিকানদের জন্য কানাডা-যুক্তরাষ্ট্র সীমান্ত খুলে দিলেও বাইডেন তা অনেকদিন কঠোরভাবে বন্ধ রাখেন। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে নতুন সামরিক জোট গঠনের ব্যাপারেও ট্রুডোকে অগ্রাহ্য করেন বাইডেন। যদিও কানাডা ঐতিহাসিকভাবেই যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক মিত্র।
এরকম আরও আরও ঘটনা আছে। আমেরিকান স্টাইলে এখানে কোনো ভালোবাসা নেই। বাস্তবিকপক্ষে সম্পর্কটা শীতল। বাইডেন নির্বাচিত হওয়ার মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা সম্পর্কের উন্নয়ন কেন হলো না? একটি কারণ হতে পারে, ট্রুডোর চীন নীতির ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র খুশী নয়। এ কারণেই হয়তো ইন্দো-প্যাসিফিক জোট থেকে কানাডার বাদ পড়া। দ্বিতীয়ত বাইডেন গং এটা ভালো করেই বুঝে গেছে যে, ট্রুডো এক মিনিটের জন্য জলবায়ু যোদ্ধা তো পরক্ষণেই পাইপলাইন প্রকল্পের পক্ষে। অর্থাৎ ট্রুডোকে ঠিক গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া যায় না। কারণ, রাজনৈতিকভাবে তিনি প্রাপ্ত বয়স্ক নন।
ওহ, স্মৃতি
- Advertisement -
- Advertisement -