কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত ক্যাথি পার্কসের বাবা মারা গেছেন এক বছর হলো। তবে যে লং-টার্ম কেয়ার হোমটিতে তার বাবা শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছিলেন সেই হোমটির পরিদর্শন প্রতিবেদনের দিকে এখনও ঘনিষ্ঠ দৃষ্টি রেখেছেন তিনি।
মহামারির প্রথম ঢেউয়ে অন্টারিওর পিকারিংযের অরচার্ড ভিলার যে ৭০ জন বাসিন্দা কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে মারা যান পার্কসের বাবা তারদর একজন। কেয়ার হোমটির সংক্রমণ প্রতিরোধ ও প্রটোকল নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার বিষয়টি উঠে আসে গত জুনে। এখন পার্কস ও অন্য বাসিন্দাদের স্বজনরা চাইছেন হোমটির লাইসেন্স যেনো নবায়ন করা না হয়। সেই সঙ্গে কেয়ার হোমটির মূল প্রতিষ্ঠান সাউথব্রিজ কেয়ার হোমের কার্যক্রম সম্প্রসারণেরও বিরুদ্ধে তারা।
পার্কস বলছিলেন, লাইসেন্স নবায়নের বিষয়ে এখনও প্রশ্ন তোলা হচ্ছে এবং এটা জেনে আমি বিস্মিত। কেয়ার হোমটির অতীতের কার্যক্রম মূল্যায়ন করে একটাই উত্তর হওয়া উচিত এবং তা হলো ‘না’।
কানাডিয়ান আর্মড ফোর্সেস সদস্যদের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পর্যাপ্ত পুষ্টি ও হাইড্রেশনের অভাবে অরচার্ড ভিলার বাসিন্দারা কষ্টে ছিলেন।
পার্কসের বলেন, আমি চাই মিউনিসিপালিটি কেয়ার হোমটি অধিগ্রহণ করুক। তার এ অবস্থান অন্য পরিবারগুলোর থেকে ভিন্ন কিছু নয়। এসব পরিবারসহ অধিকারকর্মী ও বিরোধী রাজনীতিকরা লাভজনক কেয়ার হোম থেকে সরে আসার বিষয়ে যুক্তি তুলে ধরছেন।
পার্কসের মতে, যেসব কোম্পানি পরিচালিত কেয়ার হোমে উচ্চ হারে মৃত্যু হয়েছে ও প্রটোকল পরিপালনে ব্যর্থ হয়েছে তাদের লাইসেন্স প্রত্যাহারের মধ্য দিয়ে প্রক্রিয়াটি শুরু করা যেতে পারে। কিন্তু প্রোগ্রেসিভ কনজার্ভেটিভ সরকারের অগ্রাধিকার হচ্ছে নতুন করে লং-টার্ম কেয়ার শয্যা তৈরি এবং তা পরিচালনার ভার বেসরকারি খাতে তুলে দেওয়া।
লং-টার্ম কেয়ার বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেন, পরিকল্পিত ২২০টি লং-টার্ম কেয়ার উন্নয়ন প্রকল্পের ১১১টিই হবে লাভজনক। আগামী এক দশকে ৩০ হাজার নতুন লং-টার্ম কেয়ার শয্যা তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এ ব্যাপারে আবেদনকারীদের মধ্য থেকে যোগ্যদের নাম আগামী বছরের গোড়ার দিকে প্রকাশ করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, কোভিড-১৯ মহামারিতে লং-টার্ম কেয়ার হোমের ৪ হাজার বাসিন্দা মারা গেছেন। মোট আক্রান্তদের অর্ধেকের বেশি ছিলেন লাভজনকভাবে পরিচালিত কেয়ার হোমের বাসিন্দা। এছাড়া অলাভজনক কেয়ার হোমগুলোর চেয়ে ৭৮ শতাংশ বেশি মৃত্যু হয়েছে লাভজনকভাবে পরিচালিত কেয়ার হোমগুলোতে।