টরন্টোতে নিউ ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রচারণার সময় অর্থনৈতিক নীতি ও প্রতিশ্রুতি নিয়ে তার দলের কাছে করা প্রশ্নগুলো মনে করছিলেন পেগি ন্যাশ। সেগুলোর বেশিরভাগই ছিল গতানুগতিক। তবে স্বাভাবিক পরিস্থিতির সাথে লাগসই।
টরন্টোর রায়ারসন ইউনিভার্সিটির ভিজিটিং প্রফেসর ন্যাশের কাছে মনে হচ্ছে, নির্বাচনী প্রচারণার সময় অর্থনীতি নিয়ে কথাবার্তা বদলে যাবে। কারণ, কি ঘটতে যাচ্ছে কারোরই তা জানা নেই।
কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ হ্রাসের লক্ষ্যে ২০২০ সালের মার্চ ও এপ্রিলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ঝাপি বন্ধ ও কর্মীদের বাড়িতে থাকার নির্দেশ দেওয়ার পর থেকে অর্থনীতি বড় ধরনের পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার ধাক্কা খেয়েছে। অবশেষে ২০২১ সালের দ্বিতীয়ার্ধে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে গতি আসে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অর্থনীতির অবস্থা যখন ভালো থাকে বা সঠিক পথে যাচ্ছে বলে ধারণা তৈরি হয় তখন ভোটাররা ক্ষমতাসীন দলের প্রতি ঝুঁকে থাকে। ভোটারদের মধ্যে এর বিপরীত ধারণা জন্মালে তারা ক্ষমতাসীন দলকে শাস্তি দিতে চায়।
নাগরিকরা দৈনন্দিন জীবনে কি কি দেখছে অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে ধারণা তার ওপর নির্ভর করে। যেমন তাদের কমিউনিটিতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলছে কি খুলছে না।
ইউনিভার্সিটি অব ক্যালগেরির রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক মেলানি টমাস বলেন, জনগণ মনে করতে পারে যে অর্থনীতি ভালোর দিকে যাচ্ছে। কিন্তু কতদিন লাগবে আমার তা জানা নেই এবং অনেক কিছু আছে সেগুলোও আমার অজানা। অন্য সব ইস্যুর মতো অর্থনীতি সম্পর্কে ব্যক্তি পর্যায়ের এই ধারণা ভোটারদের ভালোই প্রভাবিত করবে। কিন্তু নির্বাচনের সার্বিক ফলাফলকে তারা প্রভাবিত করতে পারবে না।
সুমা স্ট্র্যাটেজিসের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা এলিয়ট হিউজ বলেন, তাহলে অতীত কর্মকা-ের ভিত্তিতে লিবারেল পার্টি বিপুল সংখ্যক ভোটারকে নিজেদের পক্ষে টানতে পারবে না। এর পরিবর্তে লিবারেলসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলকে অবশ্যই উন্নত করতে হবে, যার মাধ্যমে কানাডিয়ানরা তাদের ভবিষ্যৎ দেখতে পান।
সাবেক অর্থমন্ত্রী বিল মরনোর এক সময়কার উপদেষ্টা হিউজ বলেন, ভবিষ্যতে অর্থনীতি কেমন হবে সে ব্যাপারে পরিকল্পনা করাটা বেশ শক্ত। কারণ, কোভিড-১৯ এর কারণে এখনও আমাদেরকে ধুকতে হচ্ছে।