কোভিড-১৯ মহামারি ব্যবস্থাপনায় অন্যদের তুলনায় পিছিয়ে আছেন প্রেইরি অঞ্চলের তিন প্রিমিয়ার। স্থানীয় জনগণের মতামতের ওপর ভিত্তি করে এ তথ্য দিয়েছে লেজার অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েশন ফর কানাডিয়ান স্টাডিজ।
প্রতিষ্ঠানটি বলছে, সমীক্ষায় অংশ নেওয়া আলবার্টার মাত্র ৩০ শতাংশ নাগরিক প্রিমিয়ার জেসন কেনি কোভিড-১৯ সঠিকভাবে ব্যবস্থাপনা করছেন বলে মত দিয়েছেন। কানাডার ১০ প্রাদেশিক নেতার মধ্যে এটা সর্বনি¤œ জনসন্তুষ্টি।
আলবার্টায় সংক্রমণ বাড়তে থাকায় লকডাউনের দাবি উঠলেও জেসন কেনি তা আমলে নেননি। এর ফলে এক পর্যায়ে আলবার্টায় সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা অন্টারিওকে ছাড়িয়ে যায়।
মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ে ম্যানিটোবার বাসিন্দারাও ব্যাপক হারে সংক্রমিত হয়েছেন। তবে প্রদেশের প্রিমিয়ার ব্রায়ান পালিস্টারের কোভিড ব্যবস্থাপনার প্রতি জেসন কেনির তুলনায় কিছুটা বেশি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন ম্যানিটোবার নাগরিকরা। সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ম্যানিটোবার ৩১ শতাংশ নাগরিক পালিস্টারের কোভিড ব্যবস্থাপনায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
সংক্রমণ বাড়তে থাকলেও টেস্টিং সক্ষমতা ও কন্টাক্ট ট্রেসিংয়ে পিছিয়ে পড়ায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে পালিস্টারের সরকার। পুরো বসন্তজুড়েই জনপ্রতি সংক্রমণে অন্য সব প্রদেশের চেয়ে এগিয়ে ছিল ম্যানিটোবা।
এর বাইরে মাত্র একজন প্রিমিয়ারই ৫০ শতাংশের কম সমর্থন পেয়েছেন। তিনি হলেন সাস্কেচুয়ানের প্রিমিয়ার স্কট মো। তার সরকারের কোভিড ব্যবস্থাপনায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ৩৯ শতাংশ নাগরিক।
তবে মহামারি ব্যবস্থাপনায় প্রিমিয়ার ডগ ফোর্ড যা করছেন তাতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন অন্টারিওর অর্ধেকের বেশি নাগরিক। এছাড়া কুইবেকের প্রিমিয়ার ফ্রাসোয়াঁ লেগুর কাজে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ৫৫ শতাংশ এবং ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার প্রিমিয়ার জন হরগানের কাজে ৫৯ শতাংশ নাগরিক।
মার্চ থেকেই আটলান্টিক প্রদেশে কোভিড-১৯ এ আক্রান্তের সংখ্যা তুলনামূলক কম রয়েছে। প্রদেশের সরকারের কোভিড ব্যবস্থাপনায় তাই সন্তুষ্ট অধিকাংশ নাগরিক। এছাড়া নোভা স্কটিয়ার প্রিমিয়ার স্টিফেন ম্যাকনেইলের ব্যবস্থাপনায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন সর্বোচ্চ ৭৮ শতাংশ নাগরিক।
উল্লেখ্য, ৪ থেকে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনলাইনে ৩ হাজার ৮০১ জনের ওপর সমীক্ষাটি চালানো হয়।