সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও গুগলের মতো প্রতিষ্ঠান তদারকিতে নতুন একটি সরকারি নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ গঠনের সুপারিশ করেছে ফেডারেল তহবিলে পরিচালিত প্যানেল। এসব প্রতিষ্ঠান যাতে আইনের মধ্যে থেকে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে সেটা নিশ্চিত করবে নতুন এ কর্তৃপক্ষ।
পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কোনো পোস্ট নিয়ে কারও কোনো অভিযোগ থাকলে তার শুনানির জন্য একটি ফেডারেল ‘ই-ট্রাইব্যুনাল’ গঠনেরও পরামর্শ দিয়েছে পাবলিক পলিসি ফোরামের (পিপিএফ) কানাডিয়ান কমিশন অন ডেমোক্রেটিক এক্সপ্রেশন।
অনলাইন হয়রানির বিষয়টি বিচেনায় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ কোম্পানিগুলো নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে এ বছরের শুরুর দিকে একটি আইন প্রণয়নের কথা ভাবছে ফেডারেল সরকার। কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির নাইট ফার্স্ট অ্যামেন্ডমেন্ট ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক জামিল জাফর বলেন, গত কয়েক বছরে এটা পরিস্কার হয়ে গেছে যে, বৃহৎ সামাজিক যোগাযোগ কোম্পানিগুলোর ব্যবসায় মডেল গণতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কোন পোস্টটি বেশি গুরুত্ব পাবে কোম্পানির অ্যালগরিদম সেটি ঠিক করে এবং সংবেদনশীল বিষয়গুলো এক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পায়। আত্মনিয়ন্ত্রণ এক্ষেত্রে তেমন একটা কাজে আসে না। নিয়ন্ত্রণমূলক ফ্রেমওয়ার্ক এক্ষেত্রে ভালো সমাধান হতে পারে। তবে ফ্রেমওয়ার্কটি কেমন হবে সেটি বলা কঠিন। কারণ, সেটি নির্ধারণে আমাদের অনেক কিছু বিবেচনায় নিতে হবে।
প্যানেলের মতে, নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানটিকে কার্যকর করতে হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যগুলোর নির্বাহীদের যাতে বিপুল অংকের জরিমানা ও কারাদ-ের আওতায় আনা যায় সেই ক্ষমতা নিয়ন্ত্রককে দিতে হবে।
পাবলিক পলিসি ফোরামের প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্ত্ াএডওয়ার্ড গ্রিনস্পুনের নেতৃত্বে এসব সুপারিশ করা হয়েছে। তিনি দ্য গ্লোব অ্যান্ড মেইলেরও সাবেক এডিটর-ইন-চিফ। এ কাজে তারা কানাডিয়ান হেরিটেজের ডিজিটাল সিটিজেনস ইনিশিয়েটিভের মাধ্যমে ৬ লাখ ২৫ হাজার ডলার তহবিল পেয়েছে।