
গত বছর চারটি সাবমেরিন পরীক্ষার সময় একটিতে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা স্থায়ী হতে পারে বলে প্রতিরক্ষা বিভাগের অভ্যন্তরীণ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। এ ক্ষয়ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদে ঝুঁকি তৈরি করতে পারে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
শুধু তাই নয়, ১৯৯৮ সালে ব্রিটেন কেনা পুরনো সাবমেরিনগুলো যত সময় সাগরে ছিল তার চেয়ে বেশি সময় ছিল মেরামতের আওতায়। এটাও উঠে এসেছে প্রতিরক্ষা বিভাগের ওই প্রতিবেদনেই।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এইচএমসিএস কর্নার ব্রুক। ২০১১ সালে ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার উপকূলে সমুদ্র তলদেশে আঘাত করার পর জাহাজটি মেরামতের জন্য ছয় বছর ব্যাপক পরিসরে মেরামতের জন্য ডকইয়ার্ডে ছিল। ভিক্টোরিয়া নোঙর করে রাখা অবস্থায় ২০১৯ সালের আগস্ট মাসে সাবমেরিনটিতে আগুনও লাগে।
গত মার্চে বাবকক কানাডা কর্নার ব্রুক পরীক্ষা করার সময় এর একটি ব্যালাস্ট ট্যাংক ফেটে যায়। ২০০৮ সাল থেকে এটি বাবককের মেরামতের অধীনে আছে। সম্প্রতি সরকার বাবকের সঙ্গে চুক্তি ২০২৩ সাল পর্যন্ত বর্ধিত করেছে।
মেরামত কাজ শেষ হলেও কিছু ক্ষয়ক্ষতি থেকেই যাবে এবং নৌবাহিনীকে এটি তদারক করতে হবে। প্রতিবেদন বলছে, ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ মেরামত বাস্তবানুগ নয় এবং অর্থনৈতিকভাবে সেটা লাভজনকও হবে না। মেরামতের পরও সাবমেরিনটির যে অবস্থা দাঁড়াবে তাতে করে সম্ভাব্য কিছু ঝুঁকি থাকবেই।
ব্রিটেন থেকে পুরনো সাবমেরিনগুলো কেনার সময় থেকেই এর সুফল ও ব্যয় নিয়ে কানাডায় প্রশ্ন ওঠে। প্রতিরক্ষা দপ্তরই বলছে, সাবমেরিনগুলো রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রতি বছর ব্যয় হয় ৩০ কোটি ডলার।