ম্যানিটোবার বেশি সংখ্যক নাগরিক ভ্যাকসিন নিচ্ছেন। কিন্ত তাদের বেশিরভাগই নিচ্ছেন সিঙ্গেল ডোজ। শুক্রবার পর্যন্ত প্রদেশের ২ লাখ ৫৯ হাজার ৮৪৭ ডোজ ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১ লাখ ৯২ হাজার ১৩১টি প্রথম ডোজ এবং ৬৭ হাজার ৭১৬টি দ্বিতীয় ডোজ। এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই সিঙ্গেল ডোজ আপনার জন্য কতটা নিরাপদ?
বিষয়টি নিয়ে কানাডার দুজন বিশেষজ্ঞ এ বছরের গোড়ার দিকে নিউ ইংল্যান্ড জার্নালে একটি চিঠি প্রকাশ করেন। সেখানে তারা ফাইজারের প্রথম ডোজের ৯২ দশমিক ৬ শতাংশ কার্যকারিতার কথা উল্লেখ করেন। ম্যানিটোবার মতো কানাডার অনেক প্রদেশ অধিক সংখ্যক মানুষকে ভ্যাকসিনেশনের আওতায় আনতে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের মধ্যবর্তী সময় বাড়িয়ে দিয়েছে।
ম্যানিটোবার ভ্যাকসিন বিতরণ টাস্কফোর্সের মেডিকেল প্রধান ডা. জস রেইমার বলেন, ব্রিটিশ কলাম্বিয়া, ম্যানিটোবা, কুইবেক, যুক্তরাজ্য ও ইসরায়েলের ওপর পরিচালিত গবেষণার নিরিখে সিদ্ধান্তটি নিয়েছেন তারা। সবগুলো গবেষণাতেই প্রথম ডোজের পর ৭০ অথবা ৮০ শতাংশ সুরক্ষার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তবে ম্যানিটোবার অনেকেই প্রথম ডোজের ভ্যাকসিন নেওয়ার পর কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন।
রোগতত্ত্ববিদ সিন্থিয়া কারের মতে, ভ্যাকসিনের পরীক্ষাটি হয়েছে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হওয়ার পর চরম পরিণতির ওপর। সংক্রমণ থামানোর ওপর নয়। সংক্রমণ থামাতে ভ্যাকসিন কতটা কার্যকর ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে সেই বিষয়টি সামনে আনা হয়নি। তাই প্রথম ডোজ নেওয়ার পরও যদি কেউ সংক্রমিত হন তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। এটি সিম্পটোমেটিক সংক্রমণের বিরুদ্ধে শতভাগ কার্যকর যদি নাও হয় তারপরও রোগীকে খারাপ অবস্থার দিকে যাওয়া থেকে রক্ষা করবে। তাই প্রথম ডোজ নেওয়ার পর আপনার রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা অন্যভাবে আচরণ করবে। তাছাড়া এটির কার্যকারিতা সবার ক্ষেত্রে এক রকম নয়। একেকজনের ক্ষেত্রে এটি একেকরকম আচরণ করে।
তিনি বলেন, আমাদের প্রত্যেকেরই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আলাদা এবং আমাদের ঝুঁকিও আলাদা। সুতরাং ভ্যাকসিন কোনো চিকিৎসা নয়, এটি কোচের ভূমিকা পালন করে। কি করতে হবে, আপনার শরীর ও রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে এটি সেই শিক্ষা দেয়। তাই আপনার রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা যদি সেলগুলোর মধ্যে যোগাযোগে দক্ষ না হয় এবং প্রয়োজনীয় যোদ্ধা তৈরি করতে না পারে তাহলে আপনাকে ভ্যাকসিন কমই সুরক্ষা দেবে।