কল রেট অত্যধিক বেশি, এমন বাজারগুলোতে প্রতিযোগিতা বাড়াতে প্রধান প্রধান টেলিকম অপারেটরদের নির্দেশ দিয়েছে কানাডার টেলিকমিউনিকেশন্স রেগুলেটর। যদিও এ পদক্ষেপকেও যথেষ্ট মনে করছেন না অনেক বিশ্লেষক।
২০১৯ সালের নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে উঠেছিল উচ্চ মোবাইল বিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর লিবারেল সরকার অপারেটরদের মোবাইল বিল ২৫ শতাংশ কমানোর নির্দেশ দিয়েছিল। নির্দেশ অমান্য করলে কঠোর শাস্তির ঘোষণাও দেওয়া হয়েছিল। লিবারেল সরকারের ওই পদক্ষেপের এক বছর পর প্রতিযোগিতা বাড়ানোর এ নির্দেশ দিলে টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটর।
কানাডিয়ান রেডিও-টেলিভিশন অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন্স কমিশন (সিআরটিসি) বলেছে, টেলিকম কোম্পানিগুলোর উচিত কুইবেকের ভিডিট্রনের মতো তথাকথিত মোবাইল ভার্চুয়াল নেটওয়ার্ক অপারেটরদের (এমভিএনও) পাইকারী দরে ওয়্যারলেস সেবা সরবরাহ করা। এরপর তারা তা কম মূল্যে খুচরায় ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করবে। সর্বনি¤œ শর্তে কানাডার প্রধান তিন ওয়্যারলেস সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান রজার্স কমিউনিকেশন্স ইনকরপোরেশন, বিসিই ইনকরপোরেশন এবং টেলাস করপোরেশনের কাছে ৩৫ ডলারে প্ল্যানও প্রত্যাশা করছে নিয়ন্ত্রণ সংস্থাটি। এর মধ্যে আছে সমগ্র কানাডায় আনলিমিটেড কথা বলা ও টেক্সট সুবিধা এবং তিন জিবি ডাটা।
কানাডায় মোট গ্রাহকের ৮৯ দশমিক ২ শতাংশই প্রধান তিন টেলিকম অপারেটরের। মোট রাজস্বেরও ৯০ দশমিক ৭ শতাংশ পায় তারাই। তাদের দাবি, পুরনো তথ্যের ভিত্তিতে কাজ করছে অটোয়া। সেবার মূল্যও যথেষ্ট প্রতিযোগিতামূলক বলে দাবি তাদের।
ইউনিভার্সিটি অব অটোয়ার আইনের অধ্যাপক ও টেলিকম বিশেষজ্ঞ মাইকেল গেইস্ট বলেন, বাজারে নতুন প্রতিযোগী বাড়ানোর সুযোগ নষ্ট করেছে সিআরটিসি। সীমিত মাত্রায় এমভিএনও মডেল স্থানীয় কিছু ছোট প্রতিযোগীদের জন্য লাভজনক হতে পারে। কিন্তু উন্মুক্ত ও বিস্তৃত পরিসরে এমভিএনও মডেলের যে প্রত্যাশা অনেকে করছিলেন সে লক্ষ্য পূরণ থেকে এটা অনেক দূরে।
তবে সিআরটিসির সিদ্ধান্তই যে চূড়ান্ত তেমন নয়। সরকার এটাকে বাতিল করতে পারে। এমনকি আদালতেও এর বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানানো যেতে পারে। টেলিকমিউনিকেশন খাতের দেখভালের দায়িত্বে থাকা ইনোভেশন মন্ত্রণালয় সিআরটিসির নির্দেশনা পর্যালোচনা করে দেখবে বলে জানিয়েছে।