শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রে অভিভাবকদের যে ফি পরিশোধ করতে হয় তা কমিয়ে আনার ব্যাপারে সসরকারের ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় সমাজ উন্নয়নমন্ত্রী আহমেদ হুসেন। তিনি বলেন, চাইল্ড কেয়ার সিস্টেম নিয়ে লিবারেল সরকারের যে পরিকল্পনা, ফি কমানো তার অন্যতম অংশ।
ফি কমানোর পাশাপাশি কানাডাজুড়ে শিশু দিবাযতœ কেন্দ্র বাড়ানোর ওপরও জোর দিয়েছেন আহমেদ হুসেন। তিনি বলেন, ফি কমাতে ও দিবাযত্ন কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়াতে কেন্দ্রীয় তহবিলের প্রয়োজন পড়বে। ফি’র পরিমান অভিভাবকদের সাধ্যের মধ্যে রাখতে আমাদের পরিশ্রম করতে হবে। পাশাপাশি দিবাযতœ কেন্দ্রের সংখ্যাও বাড়াতে হবে। তা না হলে এমন পরিস্থিতির তৈরি হবে যেখানে ফি সহনীয় হলেও অনেকেই এ সুবিধার বাইরে থেকে যাবেন।
লিবারেল সরকার গত সেপ্টেম্বরে সার্বজনীন চাইল্ড কেয়ার সিস্টেম গড়ে তোলার অঙ্গীকার করে। এর অন্যতম উদ্দেশ্য বেশি সংখ্যক নারীকে কাজে ফিরিয়ে আনা। কারণ কোভিড-১৯ মহামারির কারণে কর্মক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ এমনিতেই কমে গেছে।
এছাড়া নভেম্বরে সরকারের তরফ থেকে ইকোনমিক স্টেটমেন্টেও চাইল্ডহুড এডুকেটর নিয়োগ ও প্রশিক্ষণে প্রাদেশিক এবং আঞ্চলিক সরকারগুলোকে অর্থ প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। আহমেদ হুসেন এ ব্যাপারে বলেন, অধিক সংখ্যক কর্মী নিয়োগ ছাড়া সাশ্রয়ী, মানসম্মত ও বিস্তৃত পরিসরে সেবা দেওয়া সম্ভব নয়।
বিবৃতিতে চাইল্ড কেয়ার বাবদ ৫৮ কোটি ৫০ লাখ ডলার বরাদ্দের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। আগামী পাঁচ বছর এ অর্থ ব্যয় করা হবে।
আহমেদ হুসেন বলেন, চাইল্ড কেয়ারের বিষয়ে লিবারেল সরকার যে আন্তরিক সেটা প্রমাণ করতে এ কাজে গতি আনতে চাই আমরা। প্রদেশগুলোর সঙ্গে এ নিয়ে যখন আলোচনা হবে তখন রাজনৈতিক সদিচ্ছার পাশাপাশি সম্পদের বিষয়টিও উঠে আসবে।