উৎপাদকদের নির্দেশনা মেনে প্রয়োগ না করলে কুইবেকে ভ্যাকসিনের সংকট দেখা দিতে পারে বলে মনে করছেন প্রদেশটির নেতারা।
প্রথম ডোজের ভ্যাকসিন দেওয়ার তিন সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ প্রয়োগের নির্দেশনা দিয়েছে উৎপাদকরা। কিন্তু কুইবেক সরকারের নতুন যে পরিকল্পনা তাতে প্রথম ডোজের মাসাধিককাল পর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। যতটা সম্ভব বেশি সংখ্যক মানুষকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে পরিকল্পনায় এ পরিবর্তন এনেছে কুইবেক। এক্ষেত্রে প্রথম ডোজের ভ্যাকসিনেও উল্লেখযোগ্য মাত্রায় প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরির পক্ষে যুক্তি দিয়েছে তারা। যদিও ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ফাইজার এ দাবিকে বিতর্কিত বলে মন্তব্য করেছে।
প্রিমিয়ার ফ্রাসোয়াঁ লেগু সোমবার এ ব্যাপারে বলেন, দুই ডোজের মাঝের যে সময় ফাইজার নির্ধারণ করে দিয়েছে সেটা পরিপালনে কী করা যায় তা নিয়ে প্রাদেশিক সরকারের সঙ্গে কথা বলছে অটোয়া। আমাদের যদি সুযোগ থাকে তাহলে অবশ্যই আমরা প্রথম ডোজকে অগ্রাধিকার দিয়ে বেশি সংখ্যক মানুষকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনার কথা ভাববো।
ফাইজারের একজন মুখপাত্র এ প্রসঙ্গে বলেন, কানাডার জনস্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ দুই ডোজের মাঝে যে কয়দিন বিরতি দিতে বলেছে আমরাও সেটি পরিপালনের কথা বলবো।
হেলথ কানাডার একজন মুখপাত্রের ভাষায়, প্রথম ডোজের মাসাধিককাল পর দ্বিতীয় ডোজ প্রদানের পরিবর্তিত যে পরিকল্পনা তার ভালো ও মন্দ দিকগুলো আমরা বিশ্লেষণ করে দেখছি। তবে এই মূহূর্তে আমাদের সুপারিশ হলো, ডোজিংয়ের যে নিয়ম করে দেওয়া হয়েছে যতটা সম্ভব তা মেনে চলুন।
ফেডারেল সরকারের তথ্য অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে কুইবেকে ভ্যাকসিন সরবরাহ বাড়বে। ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রদেশটি ভ্যাকসিন সরবরাহ পেয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার ৩৭৫ ডোজ। এর মধ্যে ৮২ হাজার ৮৭৫ ডোজ ফাইজার-বায়োএনটেকের এবং ৩২ হাজার ৫০০ ডোজ মডার্নার। ১১ থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত সপ্তাহে ফাইজারের আরও ৪৬ হাজার ৮০০ এবং মডার্নার ৩৪ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন পাবে কুইবেক।
ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে ফাইজার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিনের সরবরাহ বেড়ে দাঁড়াবে সপ্তাহে ৮২ হাজার ৮৭৫ ডোজ। ফেব্রুয়ারি জুড়েই এ পরিমাণ সরবরাহ পাবে প্রদেশটি। এছাড়া ফেব্রুয়ারির পথম সপ্তাহ থেকে মডার্নার কাছ থেকেও প্রতি সপ্তাহে ৪৭ হাজার ৪০০ ডোজ ভ্যাকসিন পাবে কুইবেক। তবে ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে আরও ৫১ হাজার ৮০০ ডোজ ভ্যাকসিন পাওয়ার কথা রয়েছে প্রদেশটির।
গত শুক্রবার প্রদেশের ১৩ হাজার ৯৭১ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। তবে পরবর্তীতে এ সংখ্যা কমে আসে। রোববার কুইবেকে ৮ হাজার ৪০০ ডোজ ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়।