চলতি মাসে মিসিসাগা ডাক বিভাগের (কানাডা পোস্ট) শতাধিক কর্মী কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন। ডাক বিভাগের পক্ষ থেকে বুধবার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলা হয়েছে, ডিক্সি রোড অফিসে এখন পর্যন্ত ১২১ জন কোভিড রোগীকে সনাক্ত করা গেছে।
জনস্বাস্থ্য বিভাগ বলেছে, সংক্রমণ সত্ত্বেও কানাডা পোস্ট তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে সক্ষম। তবে কোনো কর্মী কোভিড পজিটিভ হলে তাকে কর্মক্ষেত্র ছেড়ে বাড়িতে আইসোলেশনে থাকতে বলেছে কানাডা পোস্ট।
কানাডা পোস্টের তথ্য অনুযায়ী, মিসিসাগায় মেইল প্রক্রিয়াকরণ, কারিগরী সেবা, পরিবহন ও প্রশাসনিক কাজে ৪ হাজার ৫০০ কর্মী নিয়োজিত আছেন।
কানাডা পোস্টের গেটওয়ে ইস্ট অফিসের এক শিফটের কর্মীদের কোভিড পরীক্ষা করতে বলেছে পিল জনস্বাস্থ্য বিভাগ। মঙ্গলবার পরীক্ষা শুরুও হয়েছে। গেটওয়ে ইস্টের ২৩ কর্মী কোভিড পজিটিভ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন কানাডা ইউনিয়ন অব পোস্টাল ওয়োর্কার্স (সিইউপিডব্লিউ) টরন্টো লোকাল ৬২৬ এর প্রেসিডেন্ট কায়সার মারুফ। তিনি বলেন, হালনাগাদ তথ্য বিনিময়, পরীক্ষা ও পরিস্থিতি যাতে উন্নত করা হয় সেজন্য কানাডা পোস্টের ওপর চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রেখেছে ইউনিয়ন।
পিল রিজিয়নের জনস্বাস্থ্য বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. লরেন্স লোহ বলেন, পিল জনস্বাস্থ্য বিভাগ সংক্রমণের প্রতিটি ঘটনা খতিয়ে দেখছে। কারও মাধ্যমে যদি কর্মক্ষেত্রে সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে তাহলে তার কন্টাক্ট আমরা চিহ্নিত করছি। কর্মক্ষেত্রে সংক্রমণ এড়াতে প্রতিষ্ঠানগুলোর যা যা করণীয় সেগুলো যাতে তারা করে সেটিও নিশ্চিতে কাজ করছি আমরা।
কর্মক্ষেত্রে কোনো কর্মী সংক্রমিত হলে তাকে পেইড সিক লিভ দেওয়া প্রয়োজন বলে বুধবার সংবাদ সম্মেলনে জানান মিসিসোগার মেয়র বনি ক্রম্বি। এখন পর্যন্ত কর্মক্ষেত্রে ২ হাজার ১৪টি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। এসব সংক্রমণের ৬০ শতাংশই হয়েছে উৎপাদন কারখানা, পণ্যাগার ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে।
বনি ক্রম্বি বলেন, কর্মক্ষেত্রে সাকল্যে ১ হাজার ৫০০ জনের কিছু বেশি মানুষ কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন। আমরা এটা ভালো করেই জানি যে, কর্মক্ষেত্রে থেকেই শেষ পর্যন্ত বাড়ি ও কমিউনিটিতে সংক্রমণ ঘটে।
পিল রিজিয়নে এখন পর্যন্ত ২০ হাজার ডোজের বেশি ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মী, অত্যাবশ্যক কর্মী এবং লং-টার্ম কেয়ার হোমের বাসিন্দাদের এসব ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে লোহ বলেন, ফাইজারের ভ্যাকসিন সরবরাহ কমে আসায় সুস্থ্য থাকার বিষয়টি এখন নিজেদের ওপর এসে পড়েছে।