পদ্ধতিগত বর্ণবাদ নিয়ন্ত্রণে অসামরিক নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমাণ ক্রাইসিস টিম গঠনের পক্ষে সর্বসম্মত মত দিয়েছে টরন্টো সিটি কাউন্সিল। পরীক্ষামূলক একটি প্রকল্পের আওতায় উদ্যোগটি নেওয়া হবে।
পুলিশিংয়ে পদ্ধতিগত বর্ণবাদ নিয়ন্ত্রণে ডজনখানেক সুপারিশ পেয়েছে সিটি কাউন্সিল। ভ্রাম্যমাণ ক্রাইসিস টিম গঠনের বিষয়টি সেগুলোর অন্যতম। আর এটি প্রথম সামনে আসে মিনিয়াপলিসে পুলিশের হাতে জর্জ ফ্লয়েড নিহত হওয়ার পর।
পরীক্ষামূলক প্রকল্পটির আওতায় উত্তর-পশ্চিম টরন্টো, উত্তর-পূর্ব টরন্টো ও ডাউনটাউন পূর্বে নতুন তিনটি ইউনিট গঠন করতে পারবে সিটি কর্তৃপক্ষ। চতুর্থ ইউনিটটি হবে আদিবাসী নেতৃত্বাধীন এবং কোন এলাকায় এটি কাজ করবে আদিবাসী কমিউনিটির পরামর্শক্রমে তা নির্ধারণ করা হবে।
সিটি কাউন্সিলের বৈঠকের আগে মঙ্গলবার সকালে টরন্টো মেয়র জন টরি বলেন, পরীক্ষামূলক কর্মসূচিটির আওতায় অসামরিক নেতৃত্বাধীন ইউনিট জরুরি ও সহিংস নয় এমন প্রয়োজনে সাড়া দেবে। অবসন্নতা-সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কাজ করবে তারা। এক্ষেত্রে প্রথম সারিতে থাকবেন মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী পরীক্ষামূলক কর্মসূচিটি হাতে নেওয়া হয়েছে এবং যেসব টরন্টোবাসী সহিংসতাবহির্ভূত সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন তারা এ থেকে সহায়তা পাবেন।
প্রতিটি ক্রাইসিস টিমে কমপক্ষে দুইজন কর্মী থাকবেন। নিয়োগদানের পর তাদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে এবং কমউিনিটি স্বাস্থ্যসেবা বিভিন্ন অংশীদার কমিটির ব্যবস্থাপনায় থাকবে। তবে প্রশ্ন হচ্ছে কোন কলগুলো পুলিশের পরিবর্তে ক্রাইসিস কমিটির কাছে পাঠানো হবে। এ ব্যাপারে জন টরির ভাষ্য, পরীক্ষামূলক প্রকল্পটি চালু করার আগে আমার প্রস্তাব থাকবে ৯১১ পরিচালনা করার বিষয়টি পুরোপুরি পর্যালোচনা করে দেখার।
তিনি বলেন, প্রতি বছর সমস্যা-সংক্রান্ত ৩০ হাজার কলে সাড়া দিতে হয় পুলিশকে। নতুন এ প্রকল্পের ফলে মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা কেবল যে তাদের দক্ষতা ও প্রশিক্ষণ কাজে লাগাতে পারবেন তা নয়, পুলিশও অন্যান্য অগ্রাধিকার যেমন সহিংস অপরাধ দমনে মনোযোগ বাড়ানোর সুযোগ পাবে।
২০২২ সালের প্রথম প্রান্তিকে পরীক্ষামূলক প্রকল্পটি চালু করার সুপারিশ করা হয়েছে। আর ২০২৬ সাল নাগাদ এটি সমগ্র সিটিতে ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্য ধরা হয়েছে। প্রকল্পটি পরিচালনা করতে খরচ হবে প্রতি বছর প্রায় ৮০ লাখ ডলার।