
তড়িঘড়ি করে জনস্বাস্থ্য বিষয়ক বিধিবিধান শিথিল ও লকডাউন প্রত্যাহারের বিষয়ে প্রদেশগুলোকে সতর্ক করে দিয়েছে কানাডার জনস্বাস্থ্য বিভাগ। জনস্বাস্থ্য বিষয়ক প্রধান কর্মকর্তা ডা. তেরেসা ট্যাম বলেছেন, যদিও দৈনিক সংক্রমণ কমে আসছে, তারপরও মহামারি নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে এখনই জনস্বাস্থ্য বিষয়ক বিধিবিধান শিথিল ও লকডাউন প্রত্যাহার করা ঠিক হবে না।
শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে তেরেসা ট্যাম বলেন, সংক্রমণ ধারাবাহিকভাবে কমিয়ে আনতে জনস্বাস্থ্য বিষয়ক কঠোর বিধিবিধানগুলো বহাল রাখার বিকল্প নেই। সব বয়সীদের মধ্যে দৈনিক সংক্রমণের যে সংখ্যা এখনও তা বেশ উচ্চ। যেকোনো সময় পরিস্থিতি বদলে যেতে পারে এবং কিছু অঞ্চলে সংক্রমণ বেড়ে যেতে পারে।
এর আগে কুইবেকের প্রিমিয়ার ফ্রাসোয়াঁ লেগু এক ফেসবুক পোস্টে প্রদেশের জনস্বাস্থ্য বিষয়ক বিদ্যমান বিধিবিধানে পরিবর্তন আনার ঘোষণা দেন। তিনি বলেন. পরিস্থিতি অনুকূল হলে খুচরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে কিছুটা স্বস্তি দিতে চাই।
ফ্রাসোয়াঁ লেগু কুইবেকে জনস্বাস্থ্য বিষিক বিধিবিধানে পরিবর্তন আনতে চান ৮ ফেব্রুয়ারির পর। প্রদেশজুড়ে জারিকৃত কারফিউয়ের মেয়াদ ওইদিনই শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
২৫ ডিসেম্বর থেকে কুইবেকের অন্যাবশ্যক ব্যবস্যা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রয়েছে। এছাড়া রাত ৮টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত প্রদেশজুড়ে কারফিউ চলছে। গত ৯ জানুয়ারি এ কারফিউ জারি করা হয়। কারফিউ যেদিন বলবৎ করা হয়, সেদিনই প্রদেশটিতে নতুন করে ২ হাজার ৬৮৫ জন কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হন। আর শনিবার প্রদেশে নতুন রোগী সনাক্ত হন ১ হাজার ৩৬৭ জন।
এ অবস্থায় তেরেসা ট্যাম বলেন, ফার্স্ট নেশন ও প্রান্তিক অঞ্চলগুলোসহ অনেক কমিউনিটিতে এখনও উচ্চ হারে সংক্রমণ হচ্ছে।
সিওক্স লুকএ্যাট ফার্স্ট নেশন্স হেলথ অথোরিটির ডা. জন গাইলফয়েল শনিবার বলেন, পপলার হিল, ওয়েবেকুই, ল্যাক সিউল ও নিবিনামিক ফার্স্ট নেশন কমিউনিটিগুলোতে আটজন সক্রিয় রোগী সনাক্ত হয়েছেন। অর্থাৎ এসব কমিউনিটিতে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে বলে মনে করা হচ্ছে। এটা অবশ্যই ভালো সংবাদ। তবে অনেক কমিউনিটিতে নতুন করে সংক্রমণও দেখা যাচ্ছে, যা সত্যিই উদ্বেগের।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের তথ্যমতে, অন্টারিওতে শনিবার ২ হাজার ৬৩ জন নতুন কোভিড রোগী সনাক্ত হয়েছেন। এদিন মারা গেছেন ৭৩ জন। ম্যানিটোবায় এদিন নতুন করে ১৬৬ জন আক্রান্ত ও দুইজন মারা গেছেন। এছাড়া সাস্কেচুয়ানে নতুন করে ২৫৮ জন আক্রান্ত হওয়ার পাশাপাশি আটজন মারাও গেছেন।