আকাশপথে কানাডা প্রবেশকারীদের আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে নিজ খরচে হোটেলে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো গত শুক্রবার এ ঘোষণা দেন। অধিক সংক্রামক করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্টের প্রবেশ বন্ধ করতেই এ উদ্যোগ নিয়েছে ফেডারেল সরকার।
অনাবশ্যক ভ্রমণ শেষে আকাশপথে দেশে ফেরা যাত্রীদের পিসিআর পরীক্ষার ফলাফল না পাওয়া পর্যন্ত নিজ খরচে তিন দিন সরকার নির্ধারিত হোটেলে কোয়ারেন্টিনের ঘোষণা আগেই দেওয়া হয়েছিল। এর দুই সপ্তাহ পর বিধানটি কার্যকরের দিনক্ষণ জানাল সরকার।
করোনাভাইরাস বিশেষ করে নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্ট থেকে কানাডিয়ানদের সুরক্ষিত রাখতেই এ পদক্ষেপ বলে মন্তব্য করেন জাস্টিন ট্রুডো। তিনি বলেন, অনাবশ্যক ভ্রমণকে নিরুৎসাহিত করার মধ্য দিয়ে আমরা কানাডিয়ানদের সুরক্ষিত রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছি। তবে যারা খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে আছেন এবং ভ্রমণ করাটা খুবই জরুরি তাদের ব্যাপারে সুচিন্তিত ও মানবিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারে সরকার সজাগ আছে। তাদেরকে কোনো ধরনের শাস্তির আওতায় ফেলতে যাচ্ছি না আমরা।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্যাটি হাইডু বলেন, যাত্রীরা কানাডার যে স্থানে অবতরণ করবেন অর্থাৎ ভ্যানকুভার, ক্যালগেরি, টরন্টো অথবা মন্ট্রিয়লে তাদেরকে হোটেল বুকিং দিতে হবে। হোটেল বুকিং-সংক্রান্ত তথ্য অনলাইনেই পাওয়া যাবে। পিসিআর পরীক্ষার ফলাফলে যারা নেগেটিভ হবেন কানেক্টিং ফ্লাইটের মাধ্যমে তারা চূড়ান্ত গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন। স্থানভেদে হোটেলে অবস্থান বাবদ খরচে সামান্য তারতম্য হতে পারে। তবে যাত্রীরা কোথায় থাকবেন সে সিদ্ধান্ত তাদের একান্তই নিজস্ব। কক্ষ ভাড়া, খাবার, পরিচ্ছন্নতা, সংক্রমণ প্রতিরোধ ব্যবস্থা, নিরাপত্তা ও পরিবহন খরচ কোয়ারেন্টিন ব্যয়ের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত থাকবে।
তিন দিন হোটেলে কোয়ারেন্টিন বাবদ ২ হাজার ডলার খরচ হতে পারে বলে ধারণা দিয়েছেন জাস্টিন ট্রুডো। তবে পিসিআর পরীক্ষায় কেউ পজিটিভ হলে তাকে সরকারের তত্ত্বাবধানে অনুমোদিত কেন্দ্রে ১৪ দিনের জন্য কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। যেসব কানাডিয়ান ভ্যাকসিন নিয়েছেন তারাও এ থেকে অব্যাহতি পাবেন না বলে জানিয়েছেন প্যাটি হাইডু।
আকাশপথের পাশাপাশি স্থলপথে অনাবশ্যক প্রয়োজনে কানাডায় প্রবেশ করলেও অন্তত ৭২ ঘণ্টা আগে সম্পন্ন পরীক্ষায় কোভিডমুক্ত সনদ দেখাতে হবে বলে এর আগে ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তবে অত্যাবশ্যক কর্মী যেমন ট্রাকচালক, জরুরি সেবাদানকারীরা এর বাইরে থাকবেনে। শুক্রবার বিষয়টি পরিস্কার করেন কর্মকর্তারা। তাদের তথ্য অনুযায়ী, ১৪ বা ৯০ দিন আগে যারা কোভিড পজিটিভ হয়েছেন তারাও স্থলপথে কানাডায় প্রবেশ করতে পারবেন।
এ ব্যাপারে ট্রুডোর বক্তব্য, কানাডায় প্রবেশ ঠেকানোর আইনী ক্ষমতা কর্মকর্তাদের নেই। তবে পরীক্ষার ফলাফল ছাড়া কেউ প্রবেশ করলে সেক্ষেত্রে ৩ হাজার ডলার পর্যন্ত জরিমানা গুনতে হবে।