
ভ্যাকসিন পাওয়ার ৮০ বছর ও তদুর্ধ্ব ব্যক্তিরা পরবর্তী অগ্রাধিকারে আছেন বলে ঘোষণা করেছে অন্টারিও সরকার। সরবরাহ বাড়লে প্রথম ধাপেই তাদেরকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
অন্টারিওর ভ্যাকসিন বিতরণ টাস্কফোর্সের প্রধান জেনারেল (অব.) রিক হিলার সোমবার প্রদেশের মেডিকেল অফিসার ও হাসপাতালের প্রধান নির্বাহীদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, ভ্যাকসিনেশনের জন্য পরবর্তী অগ্রাধিকার গ্রুপের তালিকা সরকার তৈরি করে ফেলেছে।
ভ্যাকসিন পাওয়ার ক্ষেত্রে এই মুহূর্তে সবচেয়ে অগ্রাধিকারে আছেন লং-টার্ম কেয়ার হোম, রিটায়ারমেন্ট হোম ও ফার্স্ট নেশন্স কেয়ার হোমের কর্মী ও অত্যাবশকীয় সেবাদানকারীরা, যারা এখনও ভ্যাকসিন পাননি। স্বাস্থ্যকর্মী, উত্তরের প্রত্যন্ত অঞ্চলের বয়স্ক আদিবাসীরাও রয়েছেন এ তালিকায়। পরবর্তী অগ্রাধিকারে আছেন ৮০ বছর ও তার বেশি বয়স্ক নাগরিকরা।
লং-টার্ম কেয়ার হোম ও রিটায়ারমেন্ট হোমের প্রায় সবাইকেই প্রথম ডোজের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে বলে জানান রিক হিলার। তিনি বলেন, অপ্রত্যাশিত সরবরাহ হ্রাসের কারণে ভ্যাকসিনেশন পরিকল্পনায় পরিকল্পনায় এ পরিবর্তন আনতে হয়েছে। তাই বলে সরবরাহ হ্রাস ভ্যাকসিনেশন থামাতে পারেনি অথবা অন্টারিওর উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা নাগরিকদের ভ্যাকসিনের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি থেকে সরকারকে হটাতে পারেনি।
৮০ ও তদুর্ধ্ব বয়সীদের প্রথম ধাপের আওতায় ভ্যাকসিন দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে বলে জানান স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আলেক্সান্দ্রা হিলকেনি। তিনি বলেন, সব স্বাস্থ্যকর্মী, লং-টার্ম, রিটায়ারমেন্ট হোম ও ফার্স্ট নেশন্স কেয়ার হোমের সব বাসিন্দা ও অত্যাবশ্যকীয় সেবাদাতাকর্মীকে প্রথম ডোজের ভ্যাকসিন দেওয়া সম্পন্ন হলে প্রথম ধাপে অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বাকিদের ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হবে। ৮০ বছর বা তার বেশি বয়সী নাগরিকরাও থাকছেন এ তালিকায়।
এই বয়সীদের কাছে কীভাবে ভ্যাকসিন পৌঁছানো হবে সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান হিলকেনি। তিনি বলেন, ৮০ বছর ও তার বেশি বয়সীদের কোন প্রক্রিয়ায় ভ্যাকসিন দেওয়া হবে তা নিয়ে কাজ চলছে। শিগগিরই এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।